যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি স্ত্রীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের জন্য বিশ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন আদালত। বুধবার বেলা ৩টায় এই আদেশ দেন শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুস ছালাম খান। দন্ডপ্রাপ্ত হলেন জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের হারুন টুনিকান্দি গ্রামের হাশেম শেখের ছেলে নুরুল আমিন শেখ (৩০)।
সরকার পক্ষের আইনজীবী মীর্জা হযরত আলী বলেন, ২০১৭ সালে জাজিরার হারুন টুনিকান্দি গ্রামে স্ত্রীকে হত্যা মমলায় স্বামী নুরুল আমিন শেখকে ফাঁসির রায় দেন আদালত এবং আসামিপক্ষকে ক্ষতিপূরণ বাবদ বিশ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেন। আমরা এই রায়ে খুশি।
২০১৭ সালে শরীয়তপুরের জাজিরায় রেশমা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করে তার স্বামী। পরে রেশমার ভাই ইয়াদ হোসেন ৬ জনকে আসামি করে জাজিরা থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে উল্লেখ করেন বিয়ের সময় বোনের সুখের কথা চিন্তা করে ব্যবসা করার জন্য ২ লক্ষ টাকা, ৫০ হাজার টাকা দামের গাভী ও দুই ভরি স্বর্ণ দেয়। বিয়ের দুই মাস পার না হতে ই আবার টাকা চাওয়া শুরু করে রেশমা আক্তারের স্বামী নুরুল আমিন শেখ ও তার পরিবার। কিন্তু টাকা দিতে না পারার কারণে মাঝে মধ্যেই মারধর করা হত রেশমাকে। ২ জুলাই ২০১৭ তারিখ সন্ধ্যায় রেশমাকে এলাকার লোক দেখলেও পরদিন লোক মারফত খবর যায় যে রেশমা খুন হয়েছে। আমরা রেশমার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখি রেশমাকে মশারীর টানায়া শোয়ায়া রাখা হয়েছে। আমরা ওর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধরের দাগ দেখতে পারি। পরে জাজিরা থানা মামলা দায়ের করলে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশে লাশ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন