সম্প্রীতির শহর নেত্রকোনায় শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে হিন্দু ধর্মাাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব। মণ্ডপে মণ্ডপে পূজা অর্চনার মধ্য দিয়ে মহা নবমীর আয়োজন শেষ করেছেন পূজারীরা। জেলার এবছর ৫১৬ টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলায় ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে প্রতিবছরই নতন নতুন পূজা মণ্ডপে পূজা উদযাপন হয়। গত বছরের তুলনায় এবার ১৫ টি মণ্ডপ বেশি হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপন করেছ বলেও জানান পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা।
উৎসবকে নিবিঘ্ন করতে শুরুর পূর্ব থেকেই পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কড়া নজরদারি রয়েছে। যে কারণে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে নবমী সমাপ্ত করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
সাতপাই সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সম্পাদক উৎপল ভট্টাচার্য জানান, আমাদের জেলা অসাম্প্রদায়িক চেতনার জেলা। এখানে হিন্দু মুসলিম সকলেই সুন্দরভাবে প্রতিবছর উৎসব মূখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত প্রশাসন পূজার জন্য টহল দিচ্ছেন। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে মহানবমীর আয়োজন শেষ হয়েছে। দশমির আয়োজন নিয়ে প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে গত ১০ অক্টোবর বিকালে প্রাক প্রস্তুতি দেখতে নেত্রকোনা জেলা শহরের সাতপাই এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ কালিমন্দির ও রামকৃষ্ণ আশ্রম পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, বিপিএম।
এছাড়াও প্রতিদিন জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান সমন্বিত ভাবে মণ্ডপ পরিদর্শন করছেন নিয়মিতভাবে। রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল। সেইসাথে প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছন। এছাড়াও সমাজকল্যান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজ এলাকা নেত্রকোনা সদর ও বারহাট্টা আসনের বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেছেন।
নেত্রকোনা জেলা পূজা উদযাপন পর্ষদের যুগ্ম সম্পাদক লিটন পন্ডিত জানান, জেলার ১০ উপজেলায় এ বছর ৫১৬ টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নেত্রকোনা পৌরসভায় ৫৬ টি, নেত্রকোনা সদর উপজেলায় ৫৩ টি, বারহাট্টা উপজেলায় ৫২ টি, কেন্দুয়া উপজেলায় ৪৭ টি, আটপাড়া উপজেলায় ৪০টি, পুর্বধলা উপজেলায় ৬০টি, কলমাকান্দা উপজেলায় ৬০টি, দুর্গাপুর উপজেলায় ৫৮টি, মোহনগঞ্জ উপজেলায় ৩৭ টি, মদন উপজেলায় ১৩টি ও খালিয়াজুরী উপজেলায় ৪২ টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন হচ্ছে। নেত্রকোনায় প্রতিবছর মণ্ডপ বাড়ছে। এটি ধর্মীয় মেলবন্ধন না থাকলে সম্ভব ছিলো না বলেও জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন