২৬ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:২৯

রংপুরে পানির নিচে ৮ হাজার হেক্টর ফসলের জমি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে পানির নিচে ৮ হাজার হেক্টর ফসলের জমি

তিস্তা নদীতে স্মরণকালের পানি বৃদ্ধিতে রংপুর অঞ্চলের ৮ হাজার হেক্টরের বেশি জমির আমনধানসহ অন্যান্য ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। নিমজ্জিত এসব ফসলের আর্থিক ক্ষতি এখনো নিরূপণ হয়নি। 

তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে গত ২১ অক্টোবর পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে জমির ফসলসহ রাস্তা, পানি উন্নয়নের বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এছাড়াও শত শত মানুষের বসতভিটা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে চলে যায়।  

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ বন্যায় ৫ জেলায় ৮ হাজার ১৪৭ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে আমন ধান রয়েছে ৭ হাজার ৪৪০ হেক্টার। বাকি ৭০৭ হেক্টর শাক-সবজিসহ অন্যান্য ফসল। রংপুর জেলায় মোট ফসল নিমজ্জিত হয়েছে ২ হাজার ৬৫০ হেক্টর এর মধ্যে আমন ধান ২ হাজার ৫০৫ হেক্টর, লালমনিরহাটে ৩ হাজার ৩৮০ হেক্টরের মধ্যে আমন ধান নিমজ্জিত হয়েছে ২ হাজার ৯৫৫ হেক্টর, নীলফামারীতে ১ হাজার ৬২৭ হেক্টরের মধ্যে ১ হাজার ৫৮৫ হেক্টর আমন ধান নিমজ্জিত হয়েছে।  কুড়িগ্রামে ৪৭০ হেক্টরের মধ্যে ৩৭৫ হেক্টর আমন ধান নিমজ্জিত হয়েছে। সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাইবান্ধা জেলায়। এই জেলায় ২০ হেক্টর জমির আমন ধান পানির নিচে গিয়েছে।    

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের বাগেরহাট এলাকার নুরুল ইসলাম জানান, তিনি ৯ বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছেন। তার ধান এখনো পানির নিচে রয়েছে। এছাড়াও কয়েকদিন পর পানি সরে গেলে এই ধান চাষযোগ্য হবে কিনা এ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ জানান, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ৬টি কক্ষের মধ্যে ৩টি কক্ষ তিস্তায় বিলীন হয়ে গেছে।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মাহাবুব রহমান জানান, বন্যায় নিমজ্জিত ফসলের পরিসংখ্যান করা হয়ছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগ কাজ করছেন।

বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর