পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সিনিয়র জুনিয়র দুই গ্রুপের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এক পক্ষ সিনিয়র ছাত্রনেতা নুরুল্লাহর কক্ষ ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। তবে কক্ষ ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন প্রতিপক্ষের ছাত্রনেতারা। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল্লাহ প্রক্টর বরাবর লিখিত আবেদনে অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধু হলের ১২৯ নং রুমে বৈধ শিক্ষার্থী হওয়ায় সেখানে আমি আমার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে অবস্থান করি। এ সময় অতর্কিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিহ্নত মাদক সেবী মিনহাজ প্রান্ত, শেখ রাসেল, তৌসিকুর রাভা, সৌরভসহ ২০/২৫ জনের একটি গ্রুপ জিআই পাইপসহ আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা আমাদের মারপিট করে আমাদের আহত করে।
এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল এবং হলের সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন ওই অভিযোগ পত্রে।
অপরপক্ষের যুগ্ম সম্পাদক সাইদুজ্জামান সৌরভ বলেন, তেমন কিছু হয়নি, রুম ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেনি, সামান্য কথাকাটাকাটি হয়েছিল মাত্র। নিজেরাই রুম ভাঙচুর করে আমাদের উপর দোষারোপ করছেন বলেও জানান তিনি। আর মাদক সেবন বা বিক্রি করার প্রশ্নই ওঠে না। নুরুল্লাহ গ্রুপের লোকজন আমাদেও হেয় করতেই এ ধরনের অভিযোগ করছেন বলেও দাবী তার।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন, ক্যম্পাসে সিনিয়র জুনিয়রদের মধ্যে সামান্য একটু ঝামেলা হয়েছিল। তাৎক্ষনিকভাবে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে, হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাৎক্ষণিক ভাবে প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। প্রতিবাদ মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্তরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি ও চাঁদাবাজ-মাদকসেবীদের ছাত্রলীগে ঠাই হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন। এ সময় বক্তব্য দেন পাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাহমুদ কামাল তুহিন, নিংকন হোসেন, মাহমুদুল হাসান, তৌহিদুল ইসলাম রানা, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক সেহজাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক অনুপপ চক্রবর্তী, সদস্য অলক সরকার প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এএ