ফরিদপুরে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায়। পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত তিন তরুণকে গ্রেফতার করেছে। ওই কিশোরী বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালিত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ সোমবার দিবাগত রাতে ১টা ৫০ মিনিট থেকে ৩টা পর্যন্ত ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ও ডিক্রিরচর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে এ ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত তিন তরুণকে গ্রেফতার করে। এরা হলো ডিক্রিরচর ইউনিয়নের আইজুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা অটো চালক আকাশ শেখ (১৮), একই এলাকার রাজ মিস্ত্রির সহযোগী রণি শেখ (১৮) ও নর্থ চ্যানেল পূর্বডাঙ্গী গ্রামের ট্রলি চালক শিপন শেখ (১৯)।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রবিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ফরিদপুর সদরে চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের আছিরউদ্দিন মুন্সীর ডাঙ্গীর নিকলী হাওড়স্থ জনৈক ইদ্রিস শেখের রসুন ক্ষেতে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি এম এ জলিল বলেন, এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার দিবাগত রাতে আকাশসহ অজ্ঞাতনামা চার/পাঁচ জনকে আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলাদায়ের করেছেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদপুর সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন সরকার জানান, প্রযুক্তির সহায়তায় এ ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় আসামি আকাশ শেখকে গত সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৫০ মিনিটে ফরিদপুর সদরের টেপাখোলা বেড়ি বাধ এলাকায় অবস্থিত মিলন পালের ইটের ভাটার পিছন থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী রনিকে এবং শিপনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ওই তিনি আসামিকে মঙ্গলবার বিকেলে জেলার এক নম্বর আমলি আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ