টাঙ্গাইলে ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গত তিন দিন ধরে দিনে অল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও তাতে কাঙ্ক্ষিত উত্তাপ অনুভব করা যায়নি। রাত ও সকালে ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে থাকছে চারপাশ। ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চলাচল করতে দেখা গেছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পার হতে হেড লাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। শুক্রবার টাঙ্গাইলে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিন সকালে সদর উপজেলার কাগমারা, ধরেরবাড়ী, লাউজানা, চিলাবাড়ী, বাসারচর, গালা, লাউজানা, হুগড়া, কাতুলীসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে রয়েছে মিষ্টি সকাল। চারদিকে সরিষার ক্ষেত ও মাঠঘাটে কুয়াশায় ঢাকা। ঘন কুয়াশার কারণে খালি চোখে ৩০ গজ সামনেও দেখা যাচ্ছিল না।
শীতের তীব্রতায় ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ কষ্টে রয়েছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। ছিন্নমূল অসহায় মানুষগুলো মসজিদ-মাদ্রাসা ও স্কুলগুলোর বারান্দায় জড়াজড়ি করে অতিকষ্টে রাত কাটাচ্ছেন। হাসপাতালে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
রিকশাচালক আব্দুল কুদ্দুছ, রাজ্জাক, আলামিন, সাহেব আলী, রমজান মিয়া, কালু শেখসহ অনেকেই জানান, কয়েক দিন ধরে খুব শীত পড়ছে। শীতের কারণে রাতে ও সকালে তারা ভাড়া খাটতে পারেন না। এখন গরিবের অসময় চলছে। একদিকে শীতের কষ্ট, অন্যদিকে আয় কমে যাওয়ার সংসারে অভাব দেখা দিয়েছে।
বাস চালক রহমান মিয়া, হিটলার হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, লাল মিয়াসহ অনেকেই জানান, সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সড়কগুলো কুয়াশায় ঢেকে থাকে। অনেক সময় গাড়ির হেড লাইট জ্বালিয়েও বেশি দূর পর্যন্ত দেখা যায় না, মহাসড়কেও একই অবস্থা। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ টাঙ্গাইলে ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া বেড়েছে। ফলে শীতের তীব্রতাও অনেক বেশি। শুক্রবার টাঙ্গাইলে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই