শিরোনাম
- সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন
- খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
- মেডিক্যাল শিক্ষকদের মূল বেতনের ৭০ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা
- বিপিএলে ৫ দল, শুরু ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে
- বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
- ঢাবিতে সহিংসতায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪০৩ জনকে শোকজ
- দুই দল যা-ই বলে, সরকার তা-ই করে : মির্জা আব্বাস
- পদোন্নতি পাচ্ছেন এক হাজারের বেশি বিচারক
- ইরাক আগ্রাসনের ‘মূল হোতা’ সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের মৃত্যু
- তরিকুল ইসলাম ছিলেন দলের দুর্দিনের কাণ্ডারি: তৃপ্তি
- জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ পেলেন বিচারপতি আহমেদ সোহেল
- ‘১৭ বছর রাজপথে নির্যাতিত ত্যাগী কর্মীদের চোখে আজ আশার আলো’
- নির্বাচনের সময়ে ভুয়া খবর প্রচারে জেল-জরিমানা
- বগুড়ার ডিবির সাবেক ইনচার্জসহ দুইজনের প্রত্যাহার আদেশ বাতিল
- বগুড়ায় উদ্ধার হওয়া ৩৯ ককটেল নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন টিকিট কালোবাজারি গ্রেফতার
- জনশক্তি পাঠানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ-জাপান ১৩ সমঝোতা
- বিএনপির মনোনীত প্রার্থীকে বীরগঞ্জ-কাহারোলে ব্যাপক সংবর্ধনা
- শওকত-রনির কোলাকুলি, ধানের শীষকে বিজয়ী করার আহ্বান
- শেবাচিমে নতুন কেবিন ব্লক ও ফোয়ারা উদ্বোধন
দেড় বছর ধরে গৃহকর্ত্রীর নির্মম নির্যাতনের শিকার শিশু আকলিমা
মাগুরা প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন
ঢাকার মিরপুর-২ এলাকার একটি বাসায় লিপি খাতুন নামে এক গৃহকর্ত্রীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১১ বছরের শিশু আকলিমা। মাগুরা সদর উপজেলার বাহার বাগ গ্রামে তার বাড়ি। দীর্ঘ আঠারো মাস ঢাকায় বাসায় বন্দী রেখে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে তার উপর। এমনকি বঞ্চিত করা হয়েছে নূন্যতম খাদ্যের অধিকার থেকে। যা তাকে করেছে রোগাক্রান্ত ও হাড্ডিসার।
মাগুরা সদর উপজেলার বাহারবাগ গ্রামের কুবাদ শেখের মেয়ে এই আকলিমা। ঢাকার মিরপুর-২ এলাকায় মাসুদুর রহমান বাবু নামে এক ব্যক্তির ভাড়া বাড়িতে গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করার সময় গত ১৮ মাস ধরে বাবুর স্ত্রী লিপি খাতুনের এই নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে সে। পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নির্যাতিতাসহ অভিযুক্ত লিপি খাতুন ও তার স্বামী বুধবার মাগুরায় আসে। আকলিমার স্বজনরা বৃহস্পতিবার আকলিমার সাথে দেখা করে তার কঙ্কালসার ও অসুস্থ অবস্থা দেখে একই দিন বিকালে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করেন। আকলিমার মুখে জানতে পারেন নির্যাতনের ওইসব বর্ণনা। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশ মাগুরা শহরের কলেজ পাড়ায় আকলিমার গৃহকর্তা মাসুদুর রহমান বাবুর নিজ বাসা থেকে লিপি খাতুনকে আটক করেছে। অন্যদিকে বাবু পলাতক রয়েছে। বাবু একটি ওষুধ কোম্পানীতে ঢাকায় কর্মরত। মাসুদুর রহমান ও লিপি খাতুনের বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় আকলিমার দাদা তজলু শেখ মামলা দিয়েছেন।
শিশুটির দাদি মনোয়ারা বেগম জানান, বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পর থেকে মাগুরা সদরের বাহারবাগ গ্রামে দাদা তজলু শেখ ও দাদি মনোয়ারা বেগমের কাছেই থাকছিলো আকলিমা। পড়তো স্থানীয় একটি মাদ্রাসায়। এরই মধ্যে অভাবের সুযোগ নিয়ে বাহারবাগের গ্রাম্য প্রতিবেশী মাসুদুর রহমান বাবু ও তার স্ত্রী লিপি খাতুন আকলিমাকে তাদের ঢাকার বাসায় শিশুপুত্রকে দেখাশোনার জন্য প্রস্তাব দেয়। মাসিক পারিশ্রমিক ১ হাজার টাকা। সঙ্গে থাকা খাওয়া। রাজি হয়ে যান আকলিমার দাদা দাদি। বাবু ও লিপি দম্পতি আকলিমাকে প্রথমে নিয়ে আসে মাগুরা শহরের কলেজ পাড়ার বাসায়। পরে কর্মসূত্রে আকলিমাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মিরপুর-২ এলাকার একটি ভাড়া বাসায়। সেখানেই বাবুর স্ত্রী লিপি খাতুন গত আঠারো মাস ধরে চালিয়েছে এই নির্মম নির্যাতন। ধারালো সুচ, খুনতি, পেন্সিল, কলমের খোচা ও ছ্যাকা পর্যন্ত দিয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে চড়, লাথি, বেত্রাঘাত ছিলো নিত্য দিনের ঘটনা। শুধু তাই নয় তাকে তিন বেলা খাবার পর্যন্ত দেয়া হয়নি। যা দেয়া হতো তা বাসি ও পচা খাবার। নানা এ দুরাবস্থার মধ্যে পড়ে দীর্ঘ দিনের অপুষ্টিতে কঙ্কালসার দেহ নিয়ে শয্যাশায়ী হয়ে গেছে আকলিমা। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রফিকুল আহসান জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে শিশুটি ভতির্র সময় তার শরীরে একাধিক নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কিছু চিহ্ন গরম কিছুর ছ্যাকা জাতীয়। সবচেয়ে বড় কথা দীর্ঘদিনের অপুষ্টিতে তার শরীর কঙ্কালসার হয়ে গেছে। তাকে সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত লিপির স্বামী বাবু বিশ্বাসের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেন।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘শিশুটির দাদা তজলু শেখর মামলার ভিত্তিতে বাবুর স্ত্রী লিপি খাতুনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বাবুকে আটকের চেষ্টা চলছে’।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর