লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজুর রহমানের (আনারস) ভগ্নিপতি শামছুল ইসলামকে প্রকাশ্যে মারধর করে নির্বাচনী কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে তার কর্মীদের এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদীর বিরুদ্ধে মাহফুজুর রহমান এ অভিযোগ করেন।
এসব ঘটনায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সালেহ উদ্দিন অভিযুক্ত প্রার্থীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা সালেহ উদ্দিন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভগ্নিপতিকে মারধর, নির্বাচনী কার্যালয়ে তালা দেওয়া ও কর্মীদের এলাকার ছাড়ার হুমকির অভিযোগটি পেয়েছি। এসব ঘটনা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। এতে অভিযুক্ত নৌকার প্রার্থীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ১০-১৫টি মোটরসাইকেলযোগে জেহাদী ইউনিয়নের শেরপুর বাজারে গিয়ে মাহফুজের কর্মী সাগরকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়। জেহাদি পোদ্দার বাজারে গিয়ে মাহফুজের ভগ্নিপতি শামছুল ইসলামের গায়ে হাত তুলে নির্বাচনী অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়। এছাড়া তার কর্মীদের শুক্রবারের মধ্যে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে নৌকার প্রার্থী ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জেহাদির বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ অনেক পুরোনো। তিনি স্থানীয়ভাবে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তার নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনীও রয়েছে। হত্যা তিনি এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন, তার একটি সন্ত্রাসী বাহিনীও রয়েছে। গত ১০ বছর থেকে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবারও নৌকা প্রতীক পেয়েছেন।
জেহাদির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা হলেও তিনি একটি ছাড়া বাকি মামলা থেকে রেহাই পান। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে দত্তপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুর হোসেন শামীম হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি, নির্যাতনসহ বহু অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
মাহফুজুর রহমান জানান, জেহাদি সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রদান। নির্বাচনে তিনি ওই বাহিনীর প্রভাব বিস্তার করছেন। আমার ভগ্নিপতিকে মারধরে করে নির্বাচনী কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। আমার কর্মীদেরকে এলাকার ছাড়তে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছেন। আমি তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে দমন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জানতে আবুল কাশেম জেহাদীর মোবাইলে একাধিবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এএ