আগামীকাল ২৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিয়নগুলোর মধ্যে রয়েছে সাধুহাটী, মধুহাটী, সাগান্না, গান্না, কুমড়াবাড়িয়া, হলিধানী, মহারাজপুর, পোড়াহাটী, হরিশংকরপুর, পদ্মাকর, দোগাছি, ফুরসন্দি, ঘোড়শাল, কালীচরণপুর ও নলডাঙ্গা।
অধিকাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। এরআগে ২০০৩ সালের গান্না ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শৈলমারী কুটিদূর্গাপুর গ্রামের কদমতলায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে তৎকালিন চেয়ারম্যান প্রার্থী শরাফত হোসেনের ৫ কর্মীকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়। সেসময় ওই ইউপিতে শরাফতের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান ওহাব বিশ্বাস। এবার এ ইউপিতে একই রকম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এখানে সাবেক চেয়ারম্যান ওহাব বিশ্বাসের ভাতিজা আতিকুল হাসান মাসুম নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
ফুরসন্দি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী শহীদ শিকাদার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাইদ সিকদারের সমর্থকেরা গত ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে পাল্টা-পাল্টি হামলা চালিয়ে নির্বাচনী অফিস ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। ওই সময় অভিযোগ উঠে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আহত হন নৌকার সমর্থক মাহমুদুল হক পলাশ। পরদিন সে মারা যান। এরপর স্থানীয় ক্যাম্প ইনচার্জ ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও মারধোর দিয়ে আহত করে নৌকা সমর্থকেরা। এরফলে ওই ইউনিয়নে দু’পক্ষ সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা এখানও থামেনি বলে জানা গেছে। এছাড়া হরিশংকরপুর ও পদ্মাকর ইউনিয়ন দু’টিতেও রয়েছে ঝুকিপূর্ণ।
১৫টি ইউনিয়নে মোট ভোটকেন্দ্র ১৪৮টি। স্থায়ী ও অস্থায়ী ভোট কক্ষ থাকছে ৭৬১টি। ১লাখ ২৭ হাজার ৬ শত ৮৮ জন পুরুষ ভোটার আর ১ লাখ ২৫ হাজার ৮শ' ১২ জন নারী ভোটারসহ ২লক্ষ ৫৩ হাজার ৫শ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭২ জন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১৪৮ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৯৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ করতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার সদস্য, জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে, স্টাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান ও পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে নিয়োজিত রয়েছেন জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনে কেউ যদি ব্যত্যয় ঘটনোর চেষ্টা করে তাহলে সেটি কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এখানে কাউকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন