বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় ইউপি নির্বাচনী সহিংসতায় চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহত চারজনের মধ্যে তিনজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে এবং অপরজন প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়। জানা গেছে, জেলার গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়নে কালাইহাটা ভোট কেন্দ্রে ইউপি নির্বাচনের ফলাফল সেন্টারে ঘোষণা না করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের গাড়ি ভাংচুর করে স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। এসময় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া চলাকালে গুলিতে নারীসহ তিনজন নিহত হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন কালাইহাটা এলাকার বাসিন্দা মো. খোকনের স্ত্রী উম্মে কুলসুম বেগম, ইফাদ উল্লাহ’র পুত্র আব্দুর রশীদ ও মকবুলের ছেলে আলমগীর হোসেন। বালিয়াদীঘি ইউনিয়নে কালাইহাটা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল গোফ্ফার জানান, গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই এলাকার ছহির উদ্দিনের পুত্র খোরশেদ আলমও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে থমথমে পরিস্থিতি অবস্থা বিরাজ করছে। বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের জাইগুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জাকির হোসেন (২৭) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ইউপি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলাকালে দুই মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে বিরোধের জের ধরে জাকির নিহত হয়। বগুড়ার গাবতলী থানা পুলিশ জানিয়েছে, নিহত জাকির গাবতলী উপজেলার জাইগুলি উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত লয়া মিয়ার পুত্র। সে পেশায় রঙ মিস্ত্রির কাজ করতেন। নির্বাচনে তিনি মেম্বার প্রার্থী সাইদুল ইসলামের (টিউবওয়েল প্রতীক) সমর্থক হিসেবে কাজ করছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, ভোট কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের উৎসাহিত করার কাজ করছিলেন সাইদুল ইসলামের টিউবওয়েল প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা। এসময় সেখানে আরেক মেম্বার প্রার্থী মিঠু মিয়ার (ফুটবল প্রতীক) কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া শুরু হলে জাকির হোসেনকে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে জাকির হোসেন মারা যান।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক