নওগাঁর পত্নীতলার ঘোষনগর ও নজিপুর ইউনিয়নের দুটি কেন্দ্রে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের ঘোষনগর উচ্চ বিদ্যালয় ও নজিপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজন প্রিজাডিং কর্মকর্তা রয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২৭জন পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে সাতজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন বাবলুর রশিদ আজাদুল, বজলুর রশিদ, বেলাল হোসেন, সাদিয়া, মোস্তাকিন ও সাদেকুল ইসলাম। বাকিদের নাম নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পত্নীতলার ঘোষনগর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা না করে উপজেলা সদরে ব্যালট বাক্স নিয়ে যাওয়ার পথে উপজেলার কমলাবাড়ি এলাকায় জনগণ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় জনগণের সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয় এবং উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এদিকে উপজেলার নজিপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা করে ব্যালট বাক্স উপজেলা সদরে নিয়ে যাওয়ার পথে উপজেলার গগণপুর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আজ রাতে নওগাঁর পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া জানান, পত্নীতলার দুটি কেন্দ্রে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ভোট গণনার পর ব্যালট বাক্স নিয়ে উপজেলা সদরে নেওয়ার পথে কিছু মানুষ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ঠিক কতজন আহত হয়েছেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদের মধ্যে একজন প্রিজাডিং কর্মকর্তাসহ বেশ কিছু পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ
