জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি ৬ জানুয়ারির শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের পরাজিত করে স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার আগেই মাইন বিস্ফোরণে মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। এদিন মাইন বিস্ফোরণে ৫ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ হলেও তাদের স্মৃতি এখন আমাদের ব্যথিত করে।
এই দিনটিকে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। আজকে এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করতে হবে। হুইপ বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের শক্র পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী প্রেতাত্মারা এখনো বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এদের প্রতিহত করতে হবে স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তিকে জাগ্রত করে।
১৯৭২ সালের ৬ জানুয়ারি দিনাজপুরের মহারাজা স্কুলে মুক্তিযোদ্ধা ট্রানজিট ক্যাম্পে এক আকস্মিক ভয়াবহ মাইন বিস্ফোরণে শহীদ হন ৫ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা। বৃহস্পতিবার তাদের স্মরণে মহারাজা গিরিজানাথ উচ্চ বিদ্যালয় ও চেহেলগাজী মাজার প্রাঙ্গণে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইমদাদ সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সোহাগ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল মুঈদ, ৬ জানুয়ারি স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক শফিকুল হক ছুটু, সদস্য সচিব সুলতান কামাল উদ্দীন বাচ্চু, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরুপ বকসী বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত মজুমদার ডলার, শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রায়হান কবীর সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম খালেকুজ্জামান রাজু, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল প্রমুখ।
এরপর পরই শহীদদের স্মরণে মহারাজা গিরিজানাথ স্কুল ও চেহেলগাজী মাজার প্রাঙ্গণে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, সদর উপজেলা পরিষদ, ৬ জানুয়ারি স্মৃতি পরিষদ, দিনাজপুর প্রেসক্লাব, দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন, শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা ও শহর মহিলা আওয়ামী লীগ, তাতী লীগ, মহারাজা গিরিজানাথ স্কুল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, শিক্ষক সমিতি, জুবলি স্কুলসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই