সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি মোল্লাপাড়া গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরে দু'পক্ষের সংঘর্ষে ইয়ামিন (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় দুপক্ষের অনন্ত ২০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার সকালে রূপবাটি ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামে মোল্লা গোষ্ঠী ও প্রামানিক গোষ্ঠীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে ইয়ামিন নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে হামলা আতঙ্কে অনেকে আসবাবপত্র নিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। নিহত ইয়ামিন মোল্লা গোষ্ঠীর ইউনুস মোল্লার ছেলে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের মোল্লা গোষ্ঠীর আমিরুল মোল্লার সাথে প্রামানিক গোষ্ঠীর মধ্যে গত বছরের ২৭ ও ২৮ অক্টোবর সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপক্ষের মধ্যে নতুন করে এসংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের লোকজন হাসুয়া, রামদা, লাঠি, ফালা, হলেঙ্গা, ঢাল ও সর্কি নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপ বাড়ীঘর ভাংচুর বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ফলার আঘাতে ইয়ামিন মারা যায়।
মোল্লা গোষ্ঠীর কামাল আহমেদ বাবু ও খলিল মোল্লা জানান, কোন কারণ ছাড়াই প্রামানিক গোষ্ঠীর লোকজন অতর্কিতে আমাদের বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় প্রামানিক গোষ্ঠীর লোকজনের ফালার আঘাতে আমাদের পক্ষে ইয়ামিন মারা যায় এবং অনন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
প্রামানিক গোষ্ঠীর মিজানুর রহমান ও আব্দুল লতিফ জানান, দীর্ঘদিন ধরে মোল্লা গোষ্ঠীর আমিরুল মোল্লা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের ওপর নির্যাতন ও হামলাসহ নারী নির্যাতন করে আসছে। প্রতিবাদ ও সুবিচার না পাওয়ায় প্রতিবাদ করায় সকালে তারা আমাদের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিচার্জ করে উভয়পক্ষকে শান্ত করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম