নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির পরদিন মিমহা রহমান চন্দ্রশীলা (১৭) নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। বুধবার সকালে মোহনগঞ্জ পৌরশহরের টেংগাপাড়ায় চাচার বাসায় শোয়ার ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
চন্দ্রশীলা পৌরশহরের টেংগাপাড়া কলেজ রোড এলাকার মাসুদুর রহমানের মেয়ে। সে মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। চন্দ্রশীলার দাদার ভিটা টেংগাপাড়ায় হলেও তার বাবা মাসুদুর রহমান শ্বশুরবাড়ি আটপাড়ায় থাকতেন। এখানে কোন ঘর তুলেননি। তাই আটপাড়া স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করলেও ভর্তির আগে থেকে কিছুদিন ধরে চাচার বাসাতেই থাকতো চন্দ্রশীলা।
পরিবার ও প্রতিবেশীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, চন্দ্রশীলা তার মামার বাড়ি পাশের আটপাড়া উপজেলার একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়।
আর এদিন দিবাগত রাতেই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তারা আরও জানান, প্রতিদিনের মতো রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে চন্দ্রশীলা। আজ বুধবার সকাল সাতটার দিকে তার চাচা-চাচি চা বানানোর জন্য কক্ষে প্রবেশ করেই ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় চন্দ্রশীলকে দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
চন্দ্রশীলার বাবা মাসুদুর রহমান বলেন, আমার মেয়ে একটু জেদি প্রকৃতির ছিল। পারিবারিক কিছু রাগ-ঝগড়া ছিল। যেমনটা সব পরিবারেই থাকে। হয়তো এ কারণেইে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। এছাড়া আর কোন কারণ দেখছি না। কারো প্রতি তার কোন অভিযোগ নেই।
মোহনগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মোমেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর