শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের তিন মাসের আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছে পাঁচ বছর। অথচ নিয়ম অনুযায়ী আহ্বায়ক কমিটি তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা ছিল। কিন্তু ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি ছাড়া উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি আজও।
সংগঠনের নেতারা জানান, ২০১৭ সালের ২১ মার্চ ওমর ফারুক চৌধুরী ও হারুন অর রশীদের স্বাক্ষরিত নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আহ্বায়ক ও নিয়ামুল কবীর মানিক ও ফয়সাল সরকার এই দুইজনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করে। এর মধ্যে নিয়ামুল কবীর মানিক গত ২০২০ সালে আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন। তার পদটিও এখনো শূন্য রয়েছে। এ কমিটি দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০১৮-১৯ সালে ১২ টি ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে। এবং পরে ২০১৯-২০ সালে ১০৯ টি ওয়ার্ড কমিটি করে শেরপুর জেলার মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় উপজেলায় সংগঠনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। দলীয় কর্মসূচি ছাড়া আর কিছুই করতে পারছে না। জেলা থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার ব্যাপারে কোন নির্দেশনাও আসেনি আজ পর্যন্ত। অনেকে আবার কর্মজীবনে ঢুকে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। তারপরও সেই কমিটি দিয়েই চলছে কার্যক্রম।
একাধিক নেতা জানান, সংগঠনের উপজেলা শাখার আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়কেরা তাদের পদপদবির পরিচয় দিতে পারলেও বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর দলীয় পদবি নেই। তাই অনেকেই হতাশ। দীর্ঘদিন রাজনীতি করেও পদপদবির পরিচয় দিতে পারছেন না তারা।
নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কেন্দ্র থেকে বা জেলা থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার ব্যাপারে এ পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি। তাই নির্দেশনা ছাড়া আমরা কিছুই করতে পারি না।
শেরপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ওই সময় নালিতাবাড়ীতে আহ্বায়ক কমিটি হওয়ার সময় আমার কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। তাদের ইচ্ছা মত কমিটি দিয়েছে ,তাই পূর্ণাঙ্গ কমিটির ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। ওরাই এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবে।
শেরপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে এই মুহূর্তে বক্তব্য দিতে চাচ্ছি না। পরবর্তীতে কথা বলবো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল