নেত্রকোনা জেলার সীমান্ত উপজেলা কলমান্দায় স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে যাওয়ার সময় হামলায় বিএনপির নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের দাবি, মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদ সৃতিসৌধে ফুল দিতে যাওয়ার সময় আওয়ামী যুবলীগের হামলায় তাদের ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে কলমাকান্দা উপেজলার ধান মহালে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও লেঙ্গুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা সৃতিসৌধে ফুল দিতে যাওয়ার পথে কলমাকান্দা যুবলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এই হামলা চালায়। উপজেলা ধান মহালে পৌঁছালে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালে সবাই আহত হন।
এ ব্যাপারে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আহাদ খান বলেন, স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার সময় মারামারি হয়নি। ফুল দেওয়া হয়েছে ভোর সাড়ে ৬টায়। ঘটনা ঘটেছে সকাল ৮ টা ১০ মিনিটে। তাও বাজারের মধ্যে ধান মহালের এখানে। এটি তাদের রাজনৈতিক কোন্দলের ঘটনা। এটি স্বাধীনতা দিবসের কিছু না। তাদের হাতে ফুল ছিল না। তবে মারামারির ঘটনায় দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর ৮ থেকে ১০ জন হবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পালিয়ে গেছেন। তাদের পাওয়া যায়নি হাসপাতালে।
এদিকে হামলার শিকার বিএনপি নেতারা জানান, হামলায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মতিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আনোয়ারুল ইসলাম টুটন, যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিম আহমেদ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. চন্দন মিয়া, কলমাকান্দা সদর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, যুবদল নেতা আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আরাফাত রহমান, লালন মিয়া, সুজন মিয়া, মোসতাকিম, মো. আজিজুল, মো. কাইয়ুম, আরাফাত হাসান মৌলা, জান্নাতুল ইসলাম নাঈম, যুবদল নেতা কামরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শেখ রবিন, খারনৈ ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি তমাল হাসান, জিয়াদুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মামুন, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হৃদয় হাসান বাবু, সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর হাসান বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাছুম বিল্লাহ, ছাত্রদল নেতা রুপক হাসান, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হাসান, তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সারুয়ার জাহান ও ছাত্রদল নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন গুরুতর আহত হন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ