রাজশাহীর বাগমারায় মাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। ঘরে মায়ের মরদেহ রেখে স্বাভাবিক চলাফেরা করছিলেন বড় ছেলে ও তার স্ত্রী। বাড়িতে মাকে দেখতে না পেয়ে ছোট ছেলের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে তিনি ঘরের ভিতরে ঢুকে মায়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বড় ছেলে ও তার স্ত্রী পলাতক।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যোগীপাড়া গ্রামের শাহিদা বেওয়া (৭০) স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ছেলেদের সঙ্গে থাকতেন। স্বামীর জমি বড় ছেলে হামিদুল ইসলাম ভোগদখল করে আসছেন। কিছুদিন ধরে হামিদুল ও তার স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় শাহিদার। তারা খাবার দেওয়াও বন্ধ করে দেন মাকে। বুধবার রাতে হামিদুল ও তার স্ত্রীর সঙ্গে শাহিদার ঝগড়া হয়। পরে পাশাপাশি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন শাহিদা।
বৃহস্পতিবার সকালে হামিদুল ও তার স্ত্রী আকলিমা ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে স্বাভাবিক কাজ করছিলেন। দুপুর পর্যন্ত শাহিদাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে ছোট ছেলে বিরল হোসেনের সন্দেহ হয়। মায়ের বিষয়ে হামিদুলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অসংলগ্ন কথা বলেন। পরে মায়ের ঘরের ভিতরে ঢুকে তার মরদেহ দেখতে পান বিরল। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
বিরল হোসেন বলেন, তার মাকে রড দিয়ে পিটিয়ে, শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে মরদেহ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
নিহত শাহিদার মেয়ের স্বামী শামসুল আলম বলেন, তার শাশুড়ির গলা ও পেটের নিচে আঘাতের চিহ্ন আছে। হামিদুল ও তার স্ত্রী আকলিমা তাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। ঘটনা প্রকাশের পর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী পলাতক।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম