সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার সাইফুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের বেতাল গ্রামের মৃত আবদুল নবী হোসেনের ছেলে।
সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে সৌদি আরবের হাইল শহরে দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
সাইফুলের ভাগ্নে রিফাত জাহান অপু দুর্ঘটনায় সাইফুলের মৃত্যু সংবাদটি নিশ্চিত করে জানান, হাইল শহরে মোটরসাইকেলে অবস্থানরত অবস্থায় পিছন দিক থেকে একটি প্রাইভেট কার ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। সাথে সাথে তাকে সেখানকার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বড় বোনের জামাই মাইনুদ্দিনের সাথেই সৌদি আরবে থাকতেন সাইফুল। সাইফুলের মৃত্যু সংবাদটি মাইনুদ্দিন মোবাইল ফোনে বাড়িতে জানান। এরপর থেকেই কান্নার রোল পড়ে যায় বাড়িতে।
জানা গেছে, পিতৃ-মাতৃহীন সাইফুল প্রথম সৌদি আরবে যান ২০১৩ সালে। তারা ২ ভাই ও ৩ বোন। বড় ভাই ১০ বছর আগে মারা যান। সাইফুল বিবাহিত। তার ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে জান্নাত আক্তারের বয়স ৬ বছর, আর নুসরাত আক্তারের বয়স ৩ বছর। ছেলে শাহরিয়ার ইসলাম রায়ানের বয়স দেড় বছর। স্ত্রীকে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রেখে তিনি শেষবারের মত সৌদি যান। সৌদিতে থাকাবস্থায় ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তার স্ত্রী সুবর্ণা আক্তার। ছেলের মুখ না দেখেই শেষ বিদায় নিলেন সাইফুল।
বিডি প্রতিদিন/এএম