নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গত ১২ দিনে শিশু ও বয়স্কসহ মোট ২৬৩ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ১৭৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে গত ১২ দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় কোনো মৃত্যুর সংবাদ নেই। মঙ্গলবার বিকেলে সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার ও ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মহিউদ্দিন আবদুল আজিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রয়েছে। রোগীদের যথাযথ সেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ডাক্তারের প্রসেঙ্গ তিনি বলেন, জরুরী প্রয়োজন হলে ডাক্তার আসে।
এদিকে মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিনে নোয়াখালী জেনালের হাসপাতালের ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে গেলে শিশুসহ বয়স্ক রোগীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে। সিট না পেয়ে অধিকাংশ রোগীকে বারান্দার বিছানায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শিশু ডাক্তার সকালে একবার পরিদর্শনে আসলেও আর তাদের দেখা মিলে না, অভিযোগ রোগীদের। দুজন নার্স দিয়েই চলছে চিকিৎসা সেবা। এতে হিমসিম খেতে হচ্ছে নার্সদেরও।
হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের (৯ নম্বর) সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসিমা আক্তার জানান, রোগীর পর্যাপ্ত চাপ রয়েছে। তিনি তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, অফিস থেকে তথ্য নেন।
সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, টিউবয়েল ও পুকুরের পানি কমে যাওয়ার কারণে এছাড়া অতিরিক্ত গরমের কারণে এসময়ে ডায়েরিয়া একটু বেড়ে গেছে। তবে কোনো মৃত্যুর সংবাদ নেই। পর্যাপ্ত পরিমান স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল