ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে জোড়া খুনের মামলায় স্থানীয় সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ৮১ জনের নামে বোয়ালমারী থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের চর দৈত্তরকাঠি গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহম্মেদের ছেলে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জামান সিদ্দিকী শনিবার রাত সাড়ে আটটায় এই মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এজাহারনামীয় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে বিরোধ থাকায় আসামিগণ দীর্ঘদিন যাবত গোলাম মোস্তফা জামান সিদ্দিকী, তার পরিবার এবং দলীয় লোকজনদের খুন জখম করার কুমতলবে লিপ্ত ছিল। গত ৩ মে আসামিরা বাদিপক্ষের লোকদের ঘেরাও করে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে পিটিয়ে এবং চাপাতি, ছ্যানদা ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। জখমপ্রাপ্ত আকিদুল মোল্যা, খায়রুল ইসলাম, আলমগীর, মাসুদ, জিল্লুর রহমান, মাজেদ ফকির, আমজেদ শেখের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্থানীয়রা তাদের সাথে সাথে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আকিদুল মোল্যাকে মৃত ঘোষণা করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে অপর মারাত্মক আহত খায়রুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার চারদিন পর উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের চর দৈত্তরকাঠি গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহম্মেদের ছেলে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জামান সিদ্দিকী ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. ফারুক হোসেনকে প্রধান আসামি করে বোয়ালমারী থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যা করার লক্ষ্যে মারপিট করে সাধারণ, গুরুতর জখম, খুনসহ চুরি, ক্ষতিসাধন ও হুকুমদানের অপরাধে এই মামলা করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ