বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রদলের কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্বে। রবিবার (২৯ মে) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় এই হামলায় ৪ ছাত্রদল কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রবিবার ছাত্রদলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ভাবে পুলিশের নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আমরা শেষ করি। বেলা ১২ টার দিকে হঠাৎ করে ছাত্রদল নেতা, জয়নাল আবেদিনের উপর ছাত্রলীগ কর্মীরা রাস্তায় হামলা করে। এরপর পর্যায়ক্রমে রাত পর্যন্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা পাথরঘাটা বাজারে ছাত্রদলের কর্মীদের খুঁজতে থাকে। এসময় তারা ছাত্রদল নেতা,মাসুম বিল্লাহ, রাসেল এবং ইমামের উপর হামলা করে তাদের গুরুত্বর আহত করে। তারা পাথরঘাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্য ইমাম হোসেনের মাথায় গুরুত্বর জখম হয়েছে। আমরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রদল কর্মী ইমাম হোসেন বলেন, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী, মাহমুদ, নাসির, বাবুসহ ১৫-২০ জন আমাকে বাসার সামনে থেকে ধরে এনে আওয়ামী লীগ অফিসের ভিতরে আটকে নির্যাতন করে। আমার মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত আহত করেছে। থানায় কোন অভিযোগ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানায় অভিযোগ দিতে গেলে উল্টো আমাদের আটকে দেবে। মামলা করে কি হবে? আইনতো তাদের হাতে।
ছাত্রদল কর্মীদের উপর ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি, অলিদ মক্কী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। আমরা ব্যস্ত ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রর নিয়ে। বিএনপির স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারনে ছাত্রদল কর্মীরা নিজেদের বিরোধ আমাদের উপর চাপাতে চাচ্ছে। এসময় পাথরঘাটায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাজনীতি করার দাবি করেন ছাত্রলীগ সভাপতি।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রবিবার আমি নিজে উপস্থিত থেকে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের কর্মসূচি শেষ হয়েছে। ছাত্রদল কর্মীদের উপর হামলা ও আহত হবার বিষয় তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কিছু শুনিনি বা থানায় কেউ অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ