বঙ্গোপসাগরে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ আহরণ করায় বাগেরহাটে দুইটি ফিশিং ট্রলার মালিককে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া, ওই ট্রলার দুটি জব্দ ও ৫ আড়ৎদারের জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার সকালে বাগেরহাট শহরে প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি বাজার ও ভৈরব নদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাব্বেরুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রুবাইয়া বিনতে কাশেম এসব আদেশ প্রদান করেন।
বাগেরহাট মৎস্য বিভাগ জানায়, আগামী ২৩ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সাগরে মাছ আহরণ করে বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি বাজারের এনে বিক্রি করা হচ্ছে। এমন খবরের ভিত্তিতে রবিবার সকালে অভিযান চানানো হয়। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম রাসেল, বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাব্বেরুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুকাইয়া বিনতে কাশেম ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্মকর্তা ফেরদৌস আনসারীর নেতৃত্বে কেবিবাজার ও ভৈরব নদীতে অভিযান চালিয়ে দুটি ফিশিং ট্রলার জব্ধ করা হয়। এই ট্রলার দুটির মালিক বরগুনা জেলার পাথরঘাটার কামরুল হাসান মিরাজ ও বাগেরহাট সদরের সুন্দরঘোনা এলাকার আলামিনকে আটক করে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ট্রলারে থাকা মাছ ৬০ হাজার টাকায় নিলাম বিক্রি করা হয়। একই সময়ে সাগরে নিষেধাজ্ঞা উইপেক্ষা করে আহরিত মাছ বিক্রির করায় কেবি বাজারের ৫ জন আড়ৎদার মো. ইস্রাফিল সরদার, আ. মান্নান, মিরাজ হোসেন, আ. সালাম ও হাফিজুল সরদারসহ দুই হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
একইসাথে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত কেবি ঘাটে কোন সামুদ্রিক যান নোঙ্গর করতে নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ আদেশ অমান্য হলে কেবি বাজারের আড়ৎদারদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে সর্তক করে দেয় আদালত।
ভ্রম্যমাণ আদালতের বিচারক বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাব্বেরুল ইসলাম জানান, দুইটি ট্রলার মালিককে ৭ দিনের কারাদণ্ড, ওই দুটি ট্রলার জব্দসহ নিষেধাজ্ঞা অম্যান্য করে মাছ শিকার ও বিক্রির অপরাধে কেবি বাজার এলাকার ৫ জন আড়ৎদারকে জরিমানা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম