ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে প্রতিপক্ষের হামলার এক মাস পর আক্তার হোসেন (২৫) নামে এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। দুপুর আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে মারা যায়। সে হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামের ইজাল উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী আরজিনা খাতুন জানান, গত ৮ মে জোড়াদাহ গ্রামের উসমান শাহের দুই ছেলে চাঁন মিয়া ও সুরুজ শাহের কাছে পাওনা টাকা চাইতে যায়। সেসময় দুই ভাই আমার স্বামীকে হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আহত আক্তারকে প্রথমে হরিণাকুন্ডু হাসপাতাল ও পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এটি আঘাতজনিত হত্যাকান্ড বলে দাবি করেছেন নিহতের পরিবার।
বিষয়টি নিয়ে ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় গত ১১ মে থানায় একটি মামলা করা হয়। সেই মামলায় ইতোমধ্যে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টে যদি আঘাতে মৃত্যুর সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে এটি হত্যা মামলা হিসাবে গণ্য করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম