নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নগ্ন ছবি তুলে তার পরিবার থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কে করিম নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। টাকা দেওয়ার পরও প্রতারকের নানা ফাঁদে পা দিয়ে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। গত ১ জুলাই চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের উপদ্দি লামছি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে ওই কিশোরীর স্বজন ও এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজার সংলগ্ন জোনাকির পুল এলাকায় স্থানীয় যুবসমাজ ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
এদিকে ঘটনার ১১ দিন পরেও পুলিশ প্রতারক করিম ও সৌরভকে গ্রেফতার না করায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মাষ্টার মহিন উদ্দিন, ওবায়দুল হক বিএসসি, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম, সাইফুদ্দিন ফয়সাল ও জামাল উদ্দিনসহ নিহতের স্বজনরা।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের উপদ্দি লামছি গ্রামের মৃত মুজাহিদের মেয়ে জান্নাতুল নাঈম প্রীতি ও তার পরিবারকে আবদুল করিম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নানাভাবে হয়রানি করে। প্রতারক আবদুল করিম প্রথমে প্রীতির সঙ্গে মুঠোফোনে সৌরভ নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ওই ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রীতিকে বাড়ি থেকে অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে তার নগ্ন ছবি তুলে কাউকে জানালে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে অপমান সইতে না পেয়ে গত ১ জুলাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে প্রীতি।
এ ঘটনায় প্রীতির পরিবারের পক্ষ থেকে আবদুল করিম ও কথিত প্রেমিক সৌরভকে আসামি করে কবিরহাট থানায় একটি মামলা করা হয়। মানববন্ধনে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানান প্রীতির স্বজন ও এলাকাবাসী। জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর