বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বন্যা, অর্থনৈতিক সংকট ও দুর্ভোগে নিমজ্জিত জনগণের কাছে এবারের ছিল ঈদ নিরানন্দ ও কষ্টকর। তিনি বলেন, সরকারের দুঃশাসন ও ব্যর্থতায় জনগণের মনে স্বস্তি, শান্তি ও আনন্দ নেই।
আজ মঙ্গলবার ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ধারা গ্রামে নিজ বাড়িতে বিএনপির নেতা–কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সুখ-দুঃখে জনগণের পাশে থাকে বলেই ঈদের দিনেও বিএনপি দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে ছিল। তাদের কোরবানির গোশত, চাল, ডাল, তেল ও ঈদের নতুন পোশাকসহ নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। অথচ আওয়ামী লীগের কাউকে মানুষের পাশে দেখা যায়নি। তারা ‘লিপ সার্ভিস’–এ ব্যস্ত। কাজীর গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই এর মত সরকারের ত্রাণ সহযোগিতা খাতায় আছে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাতে নেই। আওয়ামী লীগের নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এ লক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দেয়া মাত্রই সকলকে আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, জেলা বিএনপির সদস্য ও হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, আবদুল হাই, আবু হাসনাত বদরুল কবির, বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, আরফান আলী, আবদুল হামিদ, আলী আশরাফ, আমিনুল হক, সিদ্দিকুর রহমান, পরান আলী কাঞ্চু, চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান, মিজানুর রহমান, শহীদুল হক খান সুজন, কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, মফিজ উদ্দিন, সাইয়েদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, সুলতান মহিউদ্দিন, ক্বারী আবুল কাশেম, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা হোসনে আরা, সহ-সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবদুল আজিজ খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন খানসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর