ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের এক পক্ষের উপর অপর পক্ষের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদের সমর্থিত গ্রুপের ৮ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের মাথা ফেটে গেছে। রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে শহরের রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ক্যাম্পাসের রুকসু ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুইপক্ষের মাঝে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
অভিযোগে জানা গেছে, রুকসু ভবনে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদের সমর্থিত কয়েকজন আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় সভাপতি সমর্থিত তামজিদুল রশিদ রিয়ানের সমর্থক হিসাবে পরিচিত শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে রুকসু ভবনে ঢোকে। এসময় তারা সেখানে লোহাড় রড, হাতুড়ি দিয়ে এলোপাথারী ভাবে কয়েকজনকে পেটাতে থাকে। খবর পেয়ে সাধারণ সম্পাদক ফাহিমের নেতৃত্বে বেশকিছু নেতা-কর্মী রুকসু ভবনে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলায় মাথা ফেটে মারাত্বক ভাবে আহত হয় বাপ্পি ও ফয়সাল নামের দুই ছাত্রলীগ কর্মী। হামলায় আহত হন আরো ৬ জন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ রিয়ান জানান, শহর ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সজিব আহমেদ রুকসু ভবনে তার সমর্থকদের নিয়ে বসে ছিল। এসময় সেখানে শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান গেলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় মিজানের এক সমর্থককে মারপিট করা হলে সংঘর্ষের ঘটনার সূত্রপাত হয় বলে শুনেছি। আমি বাসায় ছিলাম ফলে বিষয়টির সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, রুকসু ভবনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪-৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল