বগুড়ার শাজাহানপুরে জহুরুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাব্বিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া সদরের নূরারী মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। পরে তার কথা অনুযায়ী ওই রাতেই এক ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়। চাকু উদ্ধার অভিযানে গ্রেফতার রাব্বিকেও সঙ্গে নেওয়া হয়েছিল।
রাব্বি মিয়া (২৭) শাজাহানপুর উপজেলার ফুলতলা চককানপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পেশায় তিনি প্রাইভেটকার চালক। তার বাবার নাম হারুন প্রামাণিক। নিহত জহুরুল ইসলামও (৪৩) একই এলাকার কুদ্দুছ শাহের ছেলে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন শাজাহানপুর কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. রাজু কামালা।
এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নিজ এলাকাতেই জহুরুলকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে ওইদিন মধ্যরাতে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনার পরপরই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ওই রাতেই ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই বাকিরুল ইসলাম।
রাব্বি ভাড়া নেওয়া প্রাইভেটকার বাড়ির সামনে রেখে নিজ এলাকার ফাঁকা স্থানে বসে সহযোগীদের নিয়ে মদপান করছিলেন। তিনি ফিরে এসে দেখেন তার প্রাইভেটকারের পার্কিং সুইচ ভাঙা। বিষয়টি নিয়ে জহুরুলের ভাতিজা বাপ্পির (২২) সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন রাব্বি। তার সন্দেহ হয় বাপ্পিরাই প্রাইভেটকারের পার্কিং সুইচ ভেঙেছেন। পরে তাদের দ্বন্দ্ব মীমাংসা করতে এসে খুন হন জহুরুল।
শাজাহানপুর কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. রাজু কামাল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় রাব্বি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তার কথা অনুযায়ী রাতেই রাব্বিকে নিয়ে চককানপাড়াতে অভিযান চালিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়। ওই এলাকার এক ডোবাতে চাকুটি ফেলে রাখা হয়েছিল।
বিডি প্রতিদিন/এমআই