৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৫:৫৭

হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত

ধর্মীয় রীতিনীতি ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন ও সেবাশ্রমে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় পুজা শুরু হয়ে শেষ হয় ১০টা ৪৫ মিনিটে। পূজা শুরুর আগে কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়। হাতে দেওয়া হয় ফুল, কপালে সিঁদুরের তিলক ও পায়ে আলতা। যথাসময়ে সজ্জিত আসনে বসিয়ে পূজা করা হয় কুমারী মাকে। এসময় শঙ্খ, উলুধ্বনি আর মায়ের স্তুতিতে মুখরিত হয় চারদিক। দূর্গাপুজার মহাঅষ্টমীর দিন প্রতি বছর ১ থেকে ১৬ বছরে বয়সী কিশোরীকে দেবীরূপে পূজা করা হয়।

এ বছর হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী হিসেবে পুজিত হয়েছেন মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়ার ৮ বছর বয়সী মিষ্টু ভট্টাচার্য্য সুকন্যা। শাস্ত্রীয় নামকরণ করা হয় কুঞ্জিকা। কুমারী পূজায় হবিগঞ্জ শহর ও আশপাশের গ্রাম থেকে নারী-পুরুষ-শিশু মিশন প্রাঙ্গণে ভিড় করেন। দেশ ও মানুষের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করা হয়। এদিকে, জেলার বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুরে শ্রী শ্রী শচী অঙ্গন ধামে অনুষ্ঠিত হয় কুমারী পূজা। এতে অংশ নেয় হিন্দু ধর্মাবলম্বী শত-শত নারী পুরুষ। রামকৃষ্ণ মিশনের মতো শচী অঙ্গন ধামেও দেশ ও মানুষের মঙ্গলে প্রার্থনা করা হয়।  

হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন ও সেবাশ্রম অধ্যক্ষ স্বামী বেদময়ানন্দ জানান, কুমারি পূজার অর্থ হলো নারী শক্তিকে পূজা করা, মায়ের রূপকে পূজা করা। আমাদের মাঝে যত কাম, ক্রোধ, লোভ, লালসা দূর করে অসুরের বিনাশ ও পবিত্র মানুষদের রক্ষা করেন মায়ের কাছে এই প্রার্থনা করি। তিনি বলেন, কুমারী পূজা উপলক্ষে রামকৃষ্ণ মিশনে হবিগঞ্জ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে শত-শত নারী পুরুষ এখানে এসেছে। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

কুমারী পূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে রামকৃষ্ণ মিশন এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ওই এলাকাকে যানজটমুক্ত রাখতে নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) গোলাম মর্তুজা জানান, শুধু কুমারী পূজা নয় পুরো পূজার আয়োজনে নির্বিঘ্নে করতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশী টহল ছাড়াও সাদা পোষাকে নজরদারি রয়েছে সার্বক্ষণিক। 

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর