সোমবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর আঘাতে উপকূলীয় উপজেলা বাগরহাটের মোরলগঞ্জে দুই শতাধিক কাঁচা বসতঘর বিধস্ত হয়েছে। ডুবে গেছে এক হাজার মৎস্য ঘের। ৩টি খাম্বা ভেঙে পড়েছে। গাছ উপড়ে তার ছিড়ে পড়েছে কয়েক কিলোমিটার এলাকার। ফলে ঝড় আঘাত হানার ২৪ ঘন্টা পার হলেও এখনো কমপক্ষে ৪০ হাজার পরিবার অন্ধকারে রয়েছে। পায়নি বিদ্যুৎ সংযোগ।
এ ছাড়াও কাঁচা সড়ক ধ্বসে পড়েছে প্রায় ৫০ কিলামিটার। একটি জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ, দুটি কাঠের পুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১২০ হেক্টর আমন ধানের ক্ষেত, ৫০ হেক্টর জমির সবজী, ৫ হেক্টর জমির কলাবাগান, ১ হেক্টর জমির পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ছে।৩টি খাম্বা ভেঙ্গে পড়েছে। টানা দু’দিনের বৃষ্টি ও ঝড়ে সবমিলিয়ে মোরলগঞ্জে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
উপজলার ৮৬ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরববরাহ করতে পেরেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। শতভাগ বিদ্যুৎ চালু করতে আরও ২৪ ঘটা সময় লাগতে পারে বলে পল্লী বিদ্যুৎ মোরেলগঞ্জ ডিজিএম মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপন চলছে। তবে শুধু মৎস্য সেক্টরেই প্রায় ১ কাটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ