ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র প্রভাবে পটুয়াখালীতে একজন নিহত হয়েছেন এবং দু’শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও শতাধিক ঘের-পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া জেলায় প্রচুর গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাংয়ে পটুয়াখালী জেলায় রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বড় ধরণের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র প্রভাবে পটুয়াখালীতে মো. নূরুল ইসলাম (৪০) নামে এক ট্রলার শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের প্রত্তাপপুর লঞ্চঘাটে নোঙ্গর করা অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র কবলে ট্রলারটি ডুবে যায়। ওই ট্রলারের মালিক আব্দুল জলিল মোল্লা তীরে উঠতে পারলেও শ্রমিক নূরুল ইসলাম ইঞ্জিনরুমে আটকে নিখোঁজ হন। পরে ১৪ ঘণ্টা পর আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় নদী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরী দলের সদস্যরা নূরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করেন।
মো. নূরুল ইসলাম পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নাজিরপুর গ্রামের রশিদ মোল্লার ছেলে। জলিল মোল্লা সোমবার পটুয়াখালীর একটি ইটভাটা থেকে ২৫ হাজার ইট নিয়ে মুরাদিয়া যাচ্ছিলেন। ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র প্রভাব বেড়ে গেলে ইট ভর্তি ট্রলারটি প্রত্তাপপুর লঞ্চঘাটে নোঙ্গর করে রাখা হয়। পরে রাতে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে ট্রলারটি ডুবে যায়।
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাংয় পটুয়াখালীতে তেমন বেশি কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি জানিয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় ১৭৯ টি কাঁচা ঘর-বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। তবে উপজেলাগুলো থেকে সর্বশেষ প্রতিবেদন পাওয়ার পর সঠিক সংখ্যা বলতে পারবো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল