খুলনার দাকোপে বানিশান্তায় কৃষি জমি রক্ষায় পশুর নদীর ড্রেজিংয়ের বালি ফেলার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে কৃষি জমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটি। বক্তারা বলেন, বিকল্প জায়গা থাকা সত্ত্বেও ড্রেজিংয়ের বালি বানিশান্তার ৩০০ একর কৃষি জমিতে ফেলার ভুল সিদ্ধান্তে অনড় থাকা দুঃখজনক। কৃষি জমিতে বালি ফেলার ভুল সিদ্ধান্ত থেকে মোংলা বন্দরকে সরে আসতে হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে দাকোপে বানিশান্তা বাজারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বেলা, নিজেরা করি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, ব্রাক, এএলআরডি, টিআইবি, ব্লাস্ট, হিন্দু বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, বানিশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে কৃষক সমাবেশে বক্তারা একথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন বানিশান্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায়।
প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র সহসভাপতি খুশী কবির। বক্তৃতা করেন বেলা’র প্রধান নির্বাহি সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন’র অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, শামসুল হুদা, কাজল দেবনাথ, মনীন্দ্র কুমার নাথ, নূর আলম শেখ, অশোক মন্ডল, কুদরত-ই-খুদা, গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কৃষিজমি ধ্বংস করে কোন উন্নয়ন করা যাবে না, এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা রাখা যাবে না ও দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। অথচ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন উপেক্ষা করে বানিশান্তার তিন ফসলি কৃষিজমিতে বালি ফেলার জন্যে নানা চক্রান্ত করছে। কৃষিজমিতে বালি ফেলাকে কেন্দ্র করে আইন-শৃংখলার অবনতি হলে তার জন্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে দায়ি থাকতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম