মাছের ভরা মৌসুম হলেও পাওয়া যাচ্ছে না মুক্ত জলাশয় ও নদীর মাছ। মাছের আড়তগুলিতে পাওয়া যাচ্ছে শুধু চাষের মাছ। কিছু দেশি মাছের দেখা মিললেও তা একেবারে ছোট ছোট। বাজারে চাষকৃত রুই, পাংগাস, পুটি, তেলাপিয়া, সিলভারকার্প, কৈ, পাবদাসহ বিভিন্ন মাছ রয়েছে। তবে চাষের মাছের প্রতি মানুষের আগ্রহ কম।
মানিকগঞ্জ শহরের বেউথা মাছের আড়ত ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, খুব ভোরে আড়ত শুরু হয়ে সকাল আটটার মধ্যে মাছ বেচাকেনা শেষ হয়। এই আড়তে দরদাম করে পাইকারি দামে মাছ বিক্রি হয়। ক্রেতারা মাছ কিনে ঢাকাসহ জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন।
কালীগঙ্গা নদীর তীর ঘেষে আড়ত গড়ে উঠলেও নদীর মাছ বাজারে নেই বললেই চলে। মজিবুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, সারা বছর লোকজন নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, রাবানী, বিষ প্রয়োগসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে মা মাছসহ পোনা মাছ ধ্বংস করছে। ছোট ছোট ডোবা নালায়ও বিষ প্রয়োগে মাছ মারা হয়। এতে সকল প্রকার মাছের বংশ ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে।
বেউথা মাছের আড়তদার মো. রাজা মিয়া বলেন, এবার বর্ষায় পানি কম হওয়ায় দেশি মাছের অভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিবছর এ সময় নদী নালার প্রচুর দেশি মাছ হতো। এবার দেশি মাছের দেখা নাই।
মিজানুর রহমান নামে একজন ক্রেতা বলেন, অবৈধ কারেন্ট জাল, রাবানীসহ মাছ নিধনকারী যন্ত্রগুলি উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধ করা গেলে হয়তো কিছু মাছ পাওয়া যেত। ইলিশ মাছের মতো ডিমওয়ালা অন্যান্য মাছ নির্দিষ্ট সময়ে ধরা বন্ধ রাখলে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেতো। তার মতে, মাছের জন্য প্রচুর অভয়াশ্রম করা হলে দেশী মাছের বংশ ধ্বংসের হাত রক্ষা পেত এবং বর্ষা মৌসুমে এসব মাছের পোনা সারা দেশে ছড়িয়ে যেত।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল