বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় নুরুল হক (৪০) নামে এক মাইক্রোবাস চালককে হত্যার ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বগুড়া অতিরিক্ত দায়রা জর্জ আদালতের বিচারক হাবিবা মন্ডল এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বোয়ালের ডারা গ্রামের শাহিন, গাজিপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরতকিতলা এলাকার ইলিয়াস ও শাহাজুদ্দিন, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ছোট দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম নজু, বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার মহেশপুর গ্রামের রাসেল, নরসিংদী জেলা সদরের ফজরকান্দি মৈশাদী এলাকার আমির হামজা, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মিন্দি এলাকার জালাল গাজী ওরফে পলাশ গাজী, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর দিয়াডাঙ্গার রোকেয়া বেগম, একই জেলার নাগেশ্বরী গোপালপুরের শহিনুর রহমান। এদের মধ্যে পলাশ গাজী ও রোকেয়া বেগম ও শাহীনুর ইসলাম পলাতক রয়েছে।
বগুড়া জজ কোর্টের রাষ্ট্র পক্ষের এপিপি অ্যাড. নাছিমুল করিম হলি জানান, ২০১৫ সালের ২ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শেরপুর উপজেলার মির্জাপুরের একটি আম বাগানের পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নিহতের হাত পা গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। এ ঘটনায় শেরপুর থানার তৎকালীন এস আই সেরাজুল ইসলাম অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে নিহতের পরিচয় পায় পুলিশ। নিহত নুরুল হক সুনামগঞ্জের আমবাড়ি বাজার এলাকার শওকত আলীর ছেলে। সে পেশায় মাইক্রোবাস চালক। সর্বশেষ তিনি ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাস নিয়ে বের হন বলে পুলিশ জানতে পারে। সেই সূত্র ধরে পুলিশ প্রথমে কুড়িগ্রাম থেকে শাহীন, রাসেল এবং নজরুলকে গ্রেফতার করে। তারা হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার এবং বাকি আসামীদের নাম প্রকাশ করে। স্বীকারোক্তিতে তারা জানায়, মাইক্রোবাস ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তারা চালককে হত্যা করে এবং মাইক্রোবাসের নম্বরও তারা পরিবর্তন করে। তিনি আরও জানান, এসআই সেরাজুল ইসলাম ২০১৮ সালে নয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট আদালতে জমা দেন। পরে আদালত স্বাক্ষ্য প্রমাণ সাপেক্ষে নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম