গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মঙ্গলবার বিকেলে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আপন দু-ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় ওয়ালটন কারখানার সামনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে আলামিন হোসেন (৩২) ও তার ছোট ভাই অনিক হোসেন (২৮)।
প্রত্যদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় সিঙ্গাপুর প্রবাসি আলামিন কয়েক মাস আগে ছুটি নিয়ে উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় তাদের নিজ বাড়িতে আসেন। মঙ্গলবার আলামিন ও তার ছোট ভাই মোটরসাইকেল যোগে ঢাকা থেকে তাদের বাড়িতে ফিরছিলেন। ফেরার পথে ওইদিন বিকেল পৌণে ৪টার দিকে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের চন্দ্রায় পৌঁছলে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের মোটরসাইকেলটি মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা অজ্ঞাত একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে তারা দুভাই মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়ে এবং মোটরসাইকেলটি ধুমড়ে-মুচড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই বড় ভাই আলামিন মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় ছোট ভাই অনিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনার পর খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই অজ্ঞাত ওই কাভার্ডভ্যানটি পালিয়ে যায়। পরে নিহত দু-ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। আপন দুই ভাইয়ের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই মহাসড়কের দু-পাশে এলোমেলো ভাবে পন্য বহনকারী কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন রাখা এবং অপরিকল্পিতভাবে ইউটান নেওয়ার সময় প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। সেখানে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। এ কারণেই সেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে সেখানে পুলিশের নিরাপত্তা জোরদারের দাবী জানান স্থানীয়রা।
সালনা (কোনাবাড়ি) হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, নিহতদের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও সেখানে মহাসড়কের দু-পাশে এলোমেলো ভাবে পন্য বহনকারী কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন রাখা এবং অপরিকল্পিতভাবে ইউটান নেওয়ার বিষয়টি নজরে এসেছে। এদের বিরুদ্ধে নিয়মিত র্যাকারিং করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ