শিরোনাম
- সংবেদনশীলদের জন্য আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস
- অভিবাসনবিরোধী অভিযানে টালমাটাল লস অ্যাঞ্জেলেস
- প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন আজ
- দেশে ফিরেছেন আব্দুল হামিদ
- খুলনায় ভ্যানচালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
- ফরাসি ওপেনে শিরোপা ধরে রাখলেন আলকারাস
- ইসরায়েলের সংবেদনশীল গোপন নথি প্রকাশ করা হবে: ইরান
- গত বছরের চেয়ে চামড়ার দাম বেশি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- ড. ইউনূস-নরেন্দ্র মোদির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ সহ্য করবে না: দুলু
- শাহ আমানত বিমানবন্দরে করোনা নজরদারি জোরদার
- ঈদের লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল
- উয়েফা নেশন্স লিগে জার্মানিকে হারিয়ে তৃতীয় ফ্রান্স
- ১১ জুন মুক্তি পেতে পারেন ইমরান খান
- গুমের শিকার ও গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের পাশে রয়েছে বিএনপি: আমিনুল হক
- সচিবালয় ও যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা
- অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক: প্রধান উপদেষ্টা
- বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের নিরাপত্তায় থাকবে সোয়াট
- ‘ক্ষমতায় গিয়ে বিএনপি চরাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি কাজ করবে’
- মুক্তি পেল বসুন্ধরা টিস্যু পরিবেশিত ‘ক্যাপিটাল ড্রামা’র প্রথম নাটক
ভেজানো সুপারির গন্ধে দূষিত হচ্ছে রায়পুরের পরিবেশ
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ভেজানো সুপারির গন্ধে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগবালাই। এখানে কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পুকুর ও উন্মুক্ত জলাশয়গুলোতে ভেজানো হচ্ছে সুপারি, মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকর কেমিক্যাল। নেই স্থানীয় প্রশাসনের বিন্দুমাত্র তদারকি। এতে হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য, দূষিত হচ্ছে পানি।
ভেজা সুপারির দূর্গন্ধে ব্যাপকভাবে দূষণ হচ্ছে পরিবেশ আর ধংস হচ্ছে বিভিন্ন জলজ প্রাণী। এসব সুপারি থেকে মরণব্যাধি ক্যান্সারসহ জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এর থেকে প্রতিকার পেতে প্রশাসনের নজরদারী প্রয়োজন বলে জানান পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, উপজেলার অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল সুপারি। দেশের উৎপাদিত সুপারির বেশির ভাগই উৎপাদন হয় এখানে। এ বছর সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এখনাকার উৎপাদিত সুপারির বেশির ভাগই বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হয়।
উপজেলার হায়দরগঞ্জ বাজার, মোল্লারহাট, নয়ারহাট, সুনামগঞ্জ বাজার, রায়পুর বাজার, মিতালী বাজার, খাসেরহাট, চরলক্ষ্মী, চরবংশী, উদমারা, ক্যাম্পেরহাট, ঝাউডগী, চরআবাবিল, জালিয়ারচর বাজার ও রাস্তার পাশের বিভিন্ন এলাকায় পুকুর-ডোবা-নালায় পঁচানো হচ্ছে সুপারি। চলতি বছর সুপারির ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন অন্তত ২’শতাধিক ব্যবসায়ী। উন্মুক্ত জলাশয়ে সুপারি ভেজানোর ফলে পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি পঁচা সুপারির দুর্গন্ধে আশপাশে চলাচল করতে চরম অসুবিধা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয় জনগণের।
জানা যায়, সুপারি পাকা হাউজে ভেজানোর নিয়ম থাকলেও বেশি লাভের আশায় তা মানছেননা কেউ। এদিকে বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে সুপারির পাকা রং ধরে রাখতে ভেজা সুপারিতে মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত রং। ফলে ক্যান্সারসহ মানব দেহে বাড়ছে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও। সাধারণ জনগণের অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের তদারকীর অভাবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকছেন এসব ব্যবসায়ীরা।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ বাহারুল আলম জানান, সুপারির রং পরিবর্তন বা সুপারি সুস্বাদু করার জন্য যেসব রং বা ক্যামিকেল দেওয়া হচ্ছে তাতে মানবদেহে বিভিন্ন রোগবালাইসহ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনজন দাস বলেন, সুপারির রং পরিবর্তন এবং ক্যামিকেল মিশিয়ে পরিবেশ দূষণ করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
এই বিভাগের আরও খবর