নোয়াখালীর সেনবাগে পুলিশ এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আত্মহত্যায় প্ররোচনার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নিহতের স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেবরের বিরুদ্ধে। নিহত গৃহবধূ নাসরিন আক্তার (১৯) উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম ছাতারপাইয়া গ্রামের মো. জহিরের স্ত্রী।
সোমবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। এর আগে, রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ছাতারপাইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের মা পান্না আক্তার জানান, প্রায় তিন বছর আগে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের পষ্চিম ছাতারপাইয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে অটোরিকশা চালক মো.জহিরের সঙ্গে বিয়ে হয় তার মেয়ে নাসরিন আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবীতে মেয়ের উপর নির্যাতন করে আসছিল তার স্বামী জহির। এছাড়া নিহতের শ্বশুর.শাশুড়ি,দেবর তুচ্ছ ঘটনায় নাসরিনকে প্রায় মানসিক নির্যাতন ও মারধর করত। তার স্বামী অন্য এক নারীর সাথে পরকীয়া করত,ঠিক মত বাড়ি ফিরত না। মেয়ের খোঁজ খবর রাখতে দুটি মুঠোফোন আমি নাসরিনকে দিয়েছিলাম। ফোন তার স্বামী ছিনিয়ে নেয়। সর্বশেষ গত ১৩ ডিসেম্বর ও ১৭ ডিসেম্বর তাকে মারধর করে তার শ্বশুরের পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে আমি মেয়ের স্বামীর বাড়িতে যাই। সেখানে নাসরিন আমাকে জানায় তাকে মারধর করে চিরতরে এ স্বামীর বাড়ি থেকে তাড়ানোর হুমকি দেয় তার স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে নিহতের পিতা বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে, তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম