সাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী রবিউল ইসিলামকে মৃৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার সময় জনাকীর্ণ আদলতে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক এম জি আজম এই আদেশ দেন।
আসামি রবিউল ইসলাম (৩০) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রসুলপুর এলাকার বিল্লাল গাজীর ছেলে। মামলার এক নম্বর আসামী রবিউল ইসলামকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর চার আসামিকে আদালত খালাস প্রদান করেছেন।
মামলার নথির তথ্য মতে, ২০১৪ সালে যশোরের কেশপুরের আগরহাটি এলাকার শহিদুল বিশ্বাসের মেয়ে রাবেয়া খাতুনকে (১৮) বিয়ে করেন রবিউল ইসলাম। বিয়ের পর থেকে দাবিকৃত এক লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য স্বামী রবিউল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা গৃহবধূ রাবেয়া খাতুনকে নির্যাতন চালাতে থাকে। ২০১৪ সালের ৬ জুন রাত ১১টার দিকে স্বামী রবিউলের প্রতিবেশি আজিজ মিস্ত্রি মাধ্যমে রাবেয়ার পিতা শহিদুল বিশ্বাস জানতে পারেন তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে ভোররাতে সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর আসেন। মেয়েকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাবেয়ার শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। পিতা শহিদুল বিশ্বাস বাদী হয়ে ঘটনার পরের দিন সাতক্ষীরা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় জামাই রবিউলসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলা চলাকালে আদালত ১৫ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও অন্যান্য কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বিচারক মামলার প্রধান আসামি রবিউল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অপর চার জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পিপি এড. জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ