লালমনিরহাটের অর্ধশত চা চাষির মাঝে প্রণোদনা প্রদান করেছে চা বোর্ড। চা চাষের বিস্তার ঘটাতে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, দেশে চায়ের বিশাল বাজার রয়েছে। ২০২১ সালে দেশের ১৬৭টি চা-বাগান এবং ক্ষুদ্রায়তন চা-বাগানে রেকর্ড পরিমাণ (৯৬ দশমিক ৫০৬ মিলিয়ন কেজি) চা উৎপাদিত হয়েছে। এ বছর ৯৪ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। যার পুরোটাই দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আগামী ২৫ সালে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের টার্গেট নেওয়া হয়েছে যা থেকে প্রায় ২৫-৩০ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় চা চাষী ও ব্যবসায়ীদের উৎসাহ প্রদান ও প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, লালমনিরহাটে ইতিমধ্যে বেশ কিছু চায়ের বাগান হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত এসব বাগান থেকে চা সঠিকভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করতে চা বোর্ড সবসময় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এই অঞ্চলে চা চাষ দিন দিন বাড়ছে। তাই আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি চায়ের বাজারজাতকরণের সকল সমস্যা সমাধানে যা পদক্ষেপ প্রয়োজন তা করব। এখানে চা প্রক্রিয়াজাত ফ্যাক্টরি তৈরি করা হবে।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারোয়ার, আদিতমারী থানার ওসি মোজাম্মেল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস ফারুক, লালমনিরহাট ক্ষুদ্র চা আবাদ প্রকল্পের পরিচালক আরিফ খান প্রমুখ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
