ফেনীর সোনাগাজী ও সদর উপজেলার টিউবওয়েলগুলোতে ভয়ানক আকারে আর্সেনিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছ। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে একটি জরিপে দেখা যায় সোনাগাজী উপজেলার ৩০ শতাংশ ও ফেনী সদর উপজেলার ১৮ শতাংশ টিউবওয়েলের পানিতে আর্সেনিক রয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী সফিউল হক বলেন, পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পের আওতায় জেন্ডার এন্ড এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় ফেনী সদর উপজেলা, দাগনভূঞা উপজেলা ও সোনাগাজী উপজেলার ব্যক্তিগত টিউবওয়েলের পানিগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে আড়াই হাজার করে টিউবওয়েলের আর্সেনিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে সোনাগাজী উপজেলার ৩০ শতাংশ ও ফেনী সদর উপজেলার ১৮ শতাংশ টিউবওয়েলের পানিতে মাত্রতিরিক্ত আর্সেনিক পাওয়া গেছে। দাগনভূঞা উপজেলার রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। কয়েকদিনের মধ্যে হাতে চলে আসবে।
সোনাগাজী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে প্রায় ৫০-৫৫ হাজার গভীর-অগভীর টিউবওয়েল রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৫১টি টিউবওয়েলের পানি পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৫৮৪টি টিউবওয়েলে আর্সেনিক মাত্রাতিরিক্ত মিলেছে।উপজেলা জনস্বাস্থ্য সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম জানান, আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েলে সবুজ দাগ ও আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েলগুলোতে লাল দাগ দেয়া হয়েছে। আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েলের পানি খাওয়া ব্যতিত ধোয়া-মোছাসহ অন্যসব কাজে ব্যবহার করা যাবে।
ডা. মো. আব্দুল্লাহ বলেন, আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করার সঙ্গে সঙ্গে রোগের উপসর্গ দেখা যায় না। দীর্ঘদিন পর শরীরে এ রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। প্রতি লিটারে ১০ মাইক্রোগ্রামের বেশি পরিমাণ আর্সেনিকযুক্ত পানি দীর্ঘদিন পান করলে রোগ হয়। আর্সেনিকে আক্রান্ত হলে চর্মরোগ থেকে শুরু করে মরণব্যাধি ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। নিরব ঘাতক আর্সেনিকোসিস, যা আসে আর্সেনিক থেকে। ভূগর্ভ থেকে গভীর বা অগভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে উঠে আসে এ বিষ। প্রতি লিটার পানিতে ৫০ মিলিগ্রাম বা এর বেশি পরিমাণ আর্সেনিক থাকলে তা খাওয়ার অনুপযোগী হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল