টাঙ্গাইলের সখীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করছে আট গ্রামের সাধারণ মানুষ। শিশু-বয়স্ক লোক, অসুস্থ রোগী, বিভিন্ন মালামাল নিয়ে বর্ষার সময় চলাচলে ব্যাপক সমস্য হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সখীপুর থেকে বাটাজোর সড়কে সংযোগ হওয়া গজারিয়া-বাঘবেড় সড়কের গোহালিয়া খালের উপড় এই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো। বাঁশের সাঁকোটি কালবার্টে রূপান্তর ও এক কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকাকরণের দীর্ঘদিনের দাবি বলে জানান এলাকাবাসী।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বাগবেড়, গজারিয়া, কির্ত্তোণ খোলা, ইছাদিঘী, ডাবাইলপাড়া, বড়চালা এছাড়া কালিদাস ও কালিয়ানপাড়া গ্রামের কিছু অংশের লোক নিয়মিত চলাচল করে ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে। এছাড়া দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে আসছে। স্বেচ্চাশ্রমে প্রতিবছর বাঁশ দিয়ে এই সাঁকো তৈরি করে স্থানীয়রা। বাঁশের সাঁকোটি কালবার্টে রূপান্তর আর এক কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকা না হওয়ায় প্রায় চার কিলোমিটার পথ ঘুড়ে বাঘবেড় বাজার হয়ে সখীপুর যেতে হয় বলে জানায় এলাকাবাসী।
বাঘবেড় এলাকার পারভেজ শিকদার বলেন, ভারি কোনো যানবাহন নিয়ে এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করা যায় না। তাই এখানে একটি ব্রিজ করার জোর দাবি জানাই।
উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. ফরিদ আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সখীপুরে অনেক এলাকায় ব্রিজ, কালবার্ট ও রাস্তা পাকাকরণের কাজ চলছে। আশা করছি এই চলমান উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাঁশের সাঁকো’র স্থলে কালবার্ট নির্মাণ হয়ে যাবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল