অপরাধমূলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে দিনাজপুর শহরে স্থাপিত আড়াই শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার সবই অচল! পৌর নাগরিকরা বলছেন, একটি সিসিটিভিও আর সচল না থাকায় বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ।
অপরাধমূলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে দিনাজপুরের স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে দু’দফায় ক্লোজ সার্কিট টিভি (সিসিটিভি) ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। তবে পুলিশ প্রশাসন বলছে এসব নতুন করে কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
এদিকে, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দ্বিতীয় দফায় ক্যামেরা স্থাপনের পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই অচল হয়ে পড়ে এগুলো। দু’দফায় স্থাপিত প্রায় আড়াইশ ক্যামেরা অকার্যকর হওয়ায় আবারও শহরে বেড়ে যায় অপরাধ, অহরহ ঘটছে মোটরসাইকেল চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। অচল হয়ে পড়া এসব সিসিটিভি ক্যামেরা সচল করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি ভুক্তভোগী ও শহরবাসীর।
পৌর নাগরিক আবু বকর সিদ্দিক, ফখরুল হাসান পলাশসহ কয়েকজন জানান, দিনাজপুর শহরবাসীর জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই ২০১৭ সালে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে মনিটরিং করা হতো এসব ক্যামেরা। এতে অনেকাংশেই শহরের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতো। কিন্তু এখন ক্যামেরাগুলো অচল হওয়ায় অনেকাংশে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর চেম্বারের সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী জানান, সিসিটিভি ক্যামেরা থাকার কারণে শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বড় বড় শপিংমলে চুরি এবং মোটরসাইকেল ছিনতাই অনেকটা কমে যায়। কিন্তু ক্যামেরাগুলো অকেজো হয়ে পড়ায় আবারো চুরি ও ছিনতাই শুরু হয়েছে। অতিসত্বর ক্যামেরাগুলো পুনরায় স্থাপন করে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের আহ্বান জানান তিনি।
প্রযুক্তিগত ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো অচল হয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, এগুলো আবার নতুন করে কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দিনাজপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে স্থাপন করা হয় ২০৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা। এরপর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শহরের ১৫টি পয়েন্টে স্থাপন করা তারবিহীন অত্যাধুনিক ৩৯টি সিসিটিভি ক্যামেরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল