নরসিংদীর পলাশে একটি বিদেশি রিভলবার ও ৫ রাউন্ড গুলিসহ ইউপি সদস্য আলমগীর গাজীসহ দুই জনকে আটক করেছে পলাশ থানা পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দীগদা গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকের পর রহস্যজনক কারণে চরসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলমগীর গাজীকে রাতে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে অস্ত্র মামলায় নরসিংদী সদর থানার বীরপুর গ্রামের অশ্বীনি বমর্ণের ছেলে রতন বর্মণকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। রতন ইউপি সদস্য আলমগীর গাজীর সহযোগী হিসেবে পরিচিত। আর ইউপি মেম্বার আলমগীর গাজী পলাশের সাবেক এমপি কামরুল আশ্রাব খান পোটন এর সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
তবে পলাশ থানার ওসি তদন্ত জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউপি মেম্বার আলমগীর গাজীকে পলাশ থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকালে ঘোড়াশাল দীগদা এলাকায় একটি মাছের প্রজেক্ট এর সামনে সন্দেহজনক দুই ব্যক্তিকে তল্লাশি করে পুলিশ। ওই সময় পুলিশের ভয়ে রতন বর্মন দৌড়ে পালানোর চেষ্ঠা করে। পরে পুলিশ রতন বর্মণকে গ্রেফতার করে। এসময় তার দেহ তল্লাশি করে একটি বিদেশি রিভলবার ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ সময় প্রজেক্টে থাকা ইউপি মেম্বার আলমগীরকেসহ থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে রাত ১২টার পর তাকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, ঘোড়াশাল দিগদা এলাকায় পলাশের সাবেক এমপি পোটন খানের একটি মাছের প্রজেক্ট এর সামনে সন্দেহজনক দুই ব্যক্তিকে তল্লাশি করে পুলিশ। ওই সময় ওই স্থানে থাকা চরসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলমগীর গাজী ও তার সহযোগী রতন বর্মণ অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। পরে তারা প্রাইভেট কার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি পুলিশের সন্দেহ হলে ইউপি সদস্যসহ দুই জনকে আটক করেন। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে ৫ রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি রিবালবার জব্দ করে। পরে তাদের পলাশ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পর থেকেই সরকার দলীয় সমর্থক পলাশের শীর্ষ নেতারা ইউপি সদস্য আলমগীর গাজীকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য থানায় ভিড় জমায়। নানা দফারফা শেষে গভীর রাতে পুলিশ হেফাজত থেকে ইউপি সদস্যকে ছাড়িয়ে নেয়া হয়।
ইউপি সদস্যকে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেন পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) এমদাদুল হক। তিনি জানিয়েছেন, রতন বর্মণ চরসিন্দুর এলাকার। তাই তাকে চেনেন কি না সে বিষয়ে জিজ্ঞসাবাদের জন্য ইউপি সদস্য আলমগীর গাজীকে থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে অস্ত্র বহনকারী রতন বর্মণের নামে থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ