মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিবি) এর কাছে হস্তান্তর করেছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কবর নামক স্থানে সীমান্ত পিলার ১৪৭/এমপির কাছে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক।
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান পিএসসি জানান, ভারতের ১১ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গান্দিনা কোম্পানি কমান্ডার পত্রের মাধ্যমে ওই ১৮ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব দেন। প্রাপ্ত তালিকায় উল্লেখিত প্রত্যেকের ঠিকানা যাচাই করে বিজিবি নিশ্চিত করে যে তারা বাংলাদেশি নাগরিক।
ফেরত আসা এসব নাগরিক বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। ভারতের পুলিশ তাদের আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করার পর বর্তমানে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ফেরত আসা নাগরিকরা হলেন- পটুয়াখালীর মেহেদী, চুয়াডাঙ্গার নুরজাহান, নড়াইলের ফরিদ শেখ, ঝিনাইদহের জিসান মণ্ডল ও সাইদুল ইসলাম, চাঁদপুরের খোকন বেপারী, সাতক্ষীরার মাজেদা ঢালী, শামিম হোসেন, মিঠুন ঘোষ, খালিদা সরদার ও মিলন কুমার, রাজশাহীর আব্দুল কুদ্দুস, যশোরের আহমেদ আলী, মৌলভীবাজারের লিটন দেব, চট্টগ্রামের শুভ মজুমদার, ঢাকার স্বাধীন রাজবংশী, মাদারিপুরের মহিউদ্দিন ফকির ও কুষ্টিয়ার নাসিমা শেখ।
বিজিবি, পুলিশের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে গাংনী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাবিদ হোসেন, ভবানীপুর থানা পুলিশের এসআই মো. আব্দুল করিম, বিজিবি কাজীপুর কোম্পানির কমান্ডার সুবেদার মো. শাহাবুদ্দিনসহ আটজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। ভারতের পক্ষে ১১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গান্দিনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এসি সুনিলের নেতৃত্বে আট সদস্য বৈঠকে অংশ নেন।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বানী ইসরাইল জানিয়েছেন, ‘ভারত থেকে নারীসহ ১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। তাদের গাংনী থানা পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হবে। পরিবারের সদস্যরা এসে পৌঁছলে তদন্ত শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ