কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর ধীরগতিতে যান চলাচল শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যায়। আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি, যাত্রীবাহী গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহন। দুর্ভোগে পড়ে নারী শিশুসহ হাজারো যাত্রী।
এদিকে চৌদ্দগ্রাম বাজারের মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ২৫ জন আহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় যানজট ২০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়।সরেজমিনে দেখা গেছে, এখনও মহাসড়কে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছে অর্ধশত লোকের দুইটি দল। প্রত্যেকের হাতে লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও তার বিদ্রোহী গ্রুপ (চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান গ্রুপ) শো-ডাউনের আয়োজন করে। উপজেলা সদরে শো-ডাউন যেন না করতে পারে সেটা কেন্দ্র করেই সংঘর্ষ বাধে।
বিদ্রোহীদের শো-ডাউনে যেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা আসতে না পারে সেজন্য মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে তল্লাশি চালানো হয়। প্রাইভেট, মাইক্রো, বাস, ট্রাক, পিকআপ ও অ্যাম্বুলেন্সে তল্লাশি চালানো হয়।
মিয়া বাজার হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, চৌদ্দগ্রাম বাজারে যানজট ছিল। আমরা নিরসনের কাজ করছি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল