আর মাত্র এক দিন বাকি। এর পরই অনুষ্ঠিত হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এই পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে শেষ মুহূর্তে হবিগঞ্জ জেলায় জমজমাট হয়ে উঠেছে পশু কেনা বেচা। পশুর হাটগুলো এখন সরগরম ক্রেতা বিক্রেতায়। ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছর যে গুরু বিক্রি হয়েছে ১ লাখ টাকায়, এবার সেই গরু বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায়। আর বিক্রেতারা বলছেন, গো খাদ্যের দাম বাড়ায় এবং শ্রমিকদের মজুরি বাড়ার কারণে এবার দাম কিছুটা বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে শেষ মুহূর্তে এসে কেনা বেচা বাড়ায় খামারিদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।
সরেজমিনে শহরের গরুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গরুর বাজারসহ আশপাশের রাস্তায় পর্যন্ত গরুগুলোকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দের গুরু কিনতে পাইকারদের সাথে দামদর করছেন। দামদর বনিবনা হওয়ার পরই ক্রয় বিক্রয় করা হছে এসব পশু। গরুর হাটের পাশাপাশি ছাগল, ভেড়া ও মহিষ উঠেছে হাটে। এদিকে, শুধু শহরের গরুর বাজারই নয়, জেলার আজমিরীগঞ্জ গরুর বাজার, নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের জনতার বাজার পশুর হাট ও শায়েস্তাগঞ্জের হাটসহ আরো অন্তত অর্ধশতাধিক স্থানে চলছে জমজমাট কেনা বেচা। এবার হাটে বড় গরুর চেয়ে মাঝারি সাইজের গরু বেশি কেনা বেচা হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের দেয়া তথ্য মতে, এবার জেলায় ছোট বড় প্রায় ৬ হাজার ৫শটি খামারে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করা হয়েছে ৬০ হাজার গবাদি পশু। এর মধ্যে রয়েছে, গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ। এছাড়াও পরিবারিকভাবে আরো লালন পালন করা হয়েছে ৩৫ হাজার গবাদি পশু। আর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৯০ হাজারের মতো। যার ফলে স্থানীয়ভাবে লালন পালন করা পশুতেই মিটবে এবারের কোরবানির চাহিদা।
হবিগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, কোরবানির হাটে যাতে করে কোন ধরনের অসুস্থ গরু বিক্রি না হয়, সে জন্য মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি বলেন, কোরবানির পশুর হাটকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে। হাটে যাতে করে জাল টাকা না ছাড়ায় সে জন্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ