৪ জুলাই, ২০২৩ ১৮:৫০

কলেজছাত্রী হত্যার দায়ে প্রেমিকের ফাঁসির আদেশ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

কলেজছাত্রী হত্যার দায়ে প্রেমিকের ফাঁসির আদেশ

প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী বেনজির জাহান মুক্তাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মো. সোহাগ মীর (২৮) নামে এক যুবককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জেলা দায়রা জজ মেহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুস্তম আলী খান রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ মীর পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়নের আনিপাড়া গ্রামের ছোবাহান মীরের ছেলে। সে ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের কাজ করতো।

জানা যায়, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বাড়ইকরণ গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদারে মেয়ে ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের বি.এ প্রথম বর্ষের ছাত্রী বেনজীর জাহান মুক্তার (১৯) সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় সোহাগ মীরের। কিছুদিন সম্পর্ক চলার পর তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। ঘটনার দিন ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর দেড়টার দিকে সোহাগ ঢাকা থেকে এসে মোবইল ফোনে মুক্তাকে তাদের বাড়ির কাছে কাপড়িয়া বাড়ির নতুন রাস্তার কাছে ডেকে আনে দেখা করার জন্য।

দেখা করা জন্য মুক্তা ঘটনাস্থলে এলে কথাবার্তা বলার একপর্যায় সোহাগ মীর চাকু দিয়ে মুক্তার গলায় একাধিক আঘাত করে। এতে মুক্তা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সোহাগ পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা মুক্তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার দিন রাতে নিহত মুক্তার বাবা মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার বাদী হয়ে নলছিটি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার তিনদিন পর ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখ নলছিটি থানা পুলিশ ঝালকাঠি ডিবি পুলিশের সহায়তায় পটুয়াখালী জেলার কলাপড়া উপজেলার চাকমাইয়া গ্রামের ফুপু বাড়ি থেকে সোহাগ মীরকে গ্রেফতার করে নলছিটি নিয়ে আসে। পরের দিন সোহাগ মীরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।

২০২০ সালের ৫ মার্চ নলছিটি থানার পরিদর্শক আব্দুল হালিম তালুকদার বাংলাদেশ দণ্ড বিধির ৩০২ ধারায় সোহাগ মীরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করে। মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসলে ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। ৫৩ কার্য দিবসে ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ  শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. ওয়ালিউল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর