১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর উদ্যোগে প্রায় লক্ষাধিক লোকের উপস্থিতিতে শোক র্যালিসহ নানান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শোক র্যালি, আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিনের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ তৈরির কার্যক্রম চলছে। এ উপলক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান জানান, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জেলা শহর মাইজদীতে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনের সড়কে প্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটবে। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রধান সড়কে শোক র্যালি করা হবে। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী। এ উপলক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে সদর ও সুবর্ণচর উপজেলার সকল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে।
প্রস্তুতি সভায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান একেএম সামসুদ্দিন জেহান, জিয়াউল হক মাওলা লিটন, নোয়াখালী জজকোর্টে পাবলিক প্রসিকিউটর ও জেলা আওয়ামী আইনজীবী সমিতিরি সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. গুলজার আহম্মেদ জুয়েল, ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাড. সিদ্দিকুর রহমান সাবু, নেয়াজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাহাদুর, কাদির হানিফ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুর রহিম ও সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাড. ওমর ফারুক, চরবাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজিব এবং চর জুবলী ইউনিয়নের খালেদ সাইফুল্ল্যাহ খসরুসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের স্বাধীনতা এনেছেন। তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও এমন আয়োজন করেছি। তাছাড়া আমার বাবা হাজী ইদ্রিস একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি আমৃত্যু জাতির জনকের আদর্শ বুকে ধারণ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে দলকে সুসংগঠিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল ইসলাম (পিপিএম, বিপিএম বার) জানান, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন