৬ অক্টোবর, ২০২৩ ১৯:৩৯

ভাঙন আতংকে তিস্তাপাড়ের মানুষ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

ভাঙন আতংকে তিস্তাপাড়ের মানুষ

লালমনিরহাটের তিস্তার পানি বেড়ে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই আবারো শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। সদর উপজেলার বাগডোরা, খুনিয়াগাছ,  রাজপুর আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচাসহ তিস্তার তীরবর্তী এলাকার কমপক্ষে ১০ পয়েন্টে শুরু হওয়া এই ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, বসতভিটা। হুমকিতে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। 

ভাঙন কবলিতদের অভিযোগ ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রতিবছরই নদী ভাঙনের শিকার হতে হচ্ছে তাদের। বন্যার ভোগান্তি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো নদী ভাঙনের কবলে পড়ায় চরম হতশা ও আতংকে দিন কাটাচ্ছে তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলার হাতিবান্ধায় অবস্থিত ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১.৩২ সেন্টিমিটার যা বিপদসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার নিচে। এর আগে বুধবার (৪ অক্টোবর) তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.৪০ যা বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়। স্বল্প মেয়াদী এই বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ার পর দুর্ভোগ না কাটতেই নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। 

তিস্তার পানি নেমে যাওয়ায় নদী ভাঙনের কবলে পড়া লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের বাগডোরার বাসিন্দা আশরাফুল জানান, তিস্তার পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়ে আবার দ্রুত কমে যায়। ফলে নদী ভাঙনের শিকার হতে হয়। নদী ভাঙনের শিকার হয়ে এর ৫/৬ বার বাড়ি সড়িয়ে নিয়েছি। বর্তমানে যেখানে বাড়ি করেছি সেটিও এখন নদীর কিনারায় পড়েছে। 

খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান মন্ডল বাদল বলেন, কয়েক দফা বন্যার পর নদী ভাঙনে কয়েকটি বাড়ি বিলীন হয়েছে। হঠাৎ পানি বেড়ে আবার কমে যাওয়ায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, তিস্তার পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বর্তমানে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নেমে যাওয়ায় তিস্তা তীরবর্তী কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা আপদকালীন কাজ হিসেবে এসব পয়েন্টে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর