দিনাজপুরসহ কয়েক জেলায় হেমন্তের শুরুতে দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। দিনভর গরম থাকলেও সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত হালকা কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে প্রকৃতি। রাতে মৃদুু শীত শীত ভাব বলে শীতের আগমনী বার্তা। রাতে সব বয়সী মানুষের শরীরে কাঁথা ও হালকা কম্বল জড়াতে হচ্ছে। আর সকালের মিষ্টি রোদে মাঠের সবুজ ঘাসের গায়ে লেগে থাকা শিশির বিন্দুর ঝলকানি শীতের সকালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে নতুন বীজের প্রস্ফুটিত চারা। ফসলের খেতসহ ঘাসে শিশির বিন্দু এঁকে দিচ্ছে শীতের চিহ্ন। সবুজ ধান গাছের প্রতিটি পাতা ভোরের বাতাসে দুলছে আর পাতা থেকে ঝরছে শিশির বিন্দু। কুয়াশা মাখা মনোরম এ পরিবেশ উপভোগ করছেন সব শ্রেণি পেশার মানুষজন। শান্ত-নীরব প্রকৃতিতে নদী-নালা ও খাল-বিলে কমতে শুরু করেছে পানি।
এদিকে আগাম সবজি চাষ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা। মূলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লাউ, টমেটো, লালশাকসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির আগাম চাষাবাদ করছেন। আবার আগাম চাষের সবজি বাজারেও আসছে।
আবার শীতের আগমনীর সাথে পাল্লা দিয়ে শীত নিবারণে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা। শীত জেকে বসার আগেই শীত নিবারনে ওইসব লেপ-তোষক তৈরীর দোকানে ভীড় করছে মানুষ।অনেকে শীত নিবারণের জন্য হালকা কাঁথা ও কম্বল ব্যবহার শুরু করেছেন।
লেপ-তোষক দোকানদাররা জানান,শীত মৌসুমে প্রতি দোকানে প্রায় ১০০ থেকে ২৫০টি লেপ-তোশক ও জাজিম কেনা বেচা হয়।
ব্যবসায়ীরা জানায়, শীতের আগমনীর সাথে দিনাজপুরের বিভিন্ন লেপ-তোষক কারিগর ও ব্যবসায়ীদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। দিনাজপুর শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার ছোট-বড় হাটবাজারগুলোয় জাজিম, বালিশ, লেপ, তোষক তৈরি ও বিক্রির কাজে শতাধিক কারিগর ও ব্যবসায়ী নিয়োজিত। এবার ২ হাজার থেকে ৩হাজার টাকা একটি লেপ-তৈরীতে খরচ হয়। গত বছরের তুলনায় এ বছর লেপ-তোষকের দাম একটু বেশি। কেননা এ বছর কাপড় ও তুলা বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে বলে জানান তারা।
বিডি প্রতিদিন/এএম