বিএনপির ডাকা হরতালে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীসহ আড়াইশ’ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকশ’ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ। পাঁচ উপজেলাতেই একটি করে মোট পাঁচটি মামলা করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, ২৯ অক্টোবর রবিবার বিএনপির ডাকা হরতালে দলের নেতাকর্মীরা অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টাকালে বেশ কয়েকটি অবিস্ফোরিত ককটেল, লাঠিসোঠা ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে আজ দুপুরে শহরের নাগপাড়া থেকে আব্দুল লতিফ নামে এক জেলা বিএনপি নেতাকে ডিবি পুলিশ আটক করেছে।
পুলিশের সূত্র গুলো জানিয়েছে, শেরপুর সদর, শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী, নকলা ও নালিতাবাড়ী থানায় ১টি করে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। শ্রীবরদীতে ৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল ও ১০টি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম খানের দাবি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে হরতাল কর্মসূচিতে নাশকতা করার জন্য মাইক্রোবাসযোগে ঢাকায় যাওয়ার পথে শনিবার রাতে শ্রীবরদী চৌরাস্তা মোড়ে বিএনপির ১১ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় মাইক্রোবাস তল্লাশি করে অবিস্ফোরিত ৫টি ককটেল ও ৩ ফুট সাইজের ১০টি লাঠিসোঠা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া শ্রীবরদী কাঁচাবাজার এলাকায় রবিবার সকালে নাশকতার চেষ্টার প্রস্তুতিকালে আরও ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে রবিবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন আনোয়ার হোসেন (৫৫), রহুল আমীন (৪০), আজিজুর রহমান (৫২), ফরিদুল হক (৪৫), ফারুকুল ইসলাম (৪০), দেলোয়ার হোসেন (৪৭), সোহেল (২৭), শফিকুল ইসলাম (৪৫), হারুণ অর রশিদ (২২), মোক্তার হোসেন (৫০) ও আবু তালেব (৪০) প্রমুখ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা বছির আহমেদ বাদল জানান, নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টাকালে বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ৫৭ জনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃত ১০ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর দাবি আমরাসহ নেতাকর্মীরা সবাই ঢাকার মহাসমাবেশে ছিলেন। বাড়িতে সে সকল নেতাকর্মীরা ছিলেন তাদের বাড়িতে গিয়ে অযথা আটক করা হয়েছে। আবার ওই গায়েবি মামলা দিয়ে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে। বাসাবাড়িতে বিএনপি সমর্থকরাও থাকতে পাচ্ছে না।
মামলার ঘটনার সত্যতা দাবি করে পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম বলেছেন, আটককৃতদের আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালত সবাইকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। কোন নির্দোষ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত